অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা : কুলটি থানার শাকতোড়িয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত শাকতোড়িয়া এস ডি গার্লস হাইস্কুলে পুলিশের সাইবার-সহ বিভিন্ন সচেতনতা মূলক অভিযান করা হয় স্কুলের ছাত্রীদের মধ্যে।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে, বলতে গেলে সকলেই স্মার্টফোন-ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। এর ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার সংক্রান্ত নানা ধরনের অপরাধের ঘটনা। সাইবার অপরাধীদের খপ্পরে পড়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ সকলেই।
এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করে জিনিস কেনা থেকে শুরু করে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামে নানা রকমভাবে ফাঁদে পড়ছে স্কুল পড়ুয়ারা ।

বহুক্ষেত্রে প্রতারকরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেল করছে। এর জন্য আত্মহত্যার মত চরম সিদ্ধান্ত বেছে নিচ্ছে স্কুল পড়ুয়ারা। এমন ঘটনারও বেশকিছু নজির আছে।
শুধু তাই নয়, মোবাইল গেম ও অনলাইনে টাকা লেনদেন করতে গিয়ে মোটা টাকা খোয়ানোর ঘটনাও মাঝেমধ্যেই সামনে উঠে আসছে। এই ধরনের বিষয়গুলি থেকে বাঁচতে কতগুলো সাধারণ ব্যাপার গোড়া থেকেই মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। সেই ব্যাপার গুলো মাথায় রেখে যদি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়, তাহলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই সাধারণ মানুষদেরকে এই বিষয়গুলি নিয়ে সচেতন করতে তৎপর হয়েছে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বা অপরাধ বিভাগ।
বিভিন্ন সচেতনতা মুলক প্রচারও নেওয়া হচ্ছে সাইবার থানার পক্ষ থেকে। সেই রকম ভাবেই বৃহস্পতিবার কূলটি থানার শাকতোড়িয়া ফাড়ির পুলিশের পক্ষ থেকে শাঁকতোড়িয়া এসডি গার্লস হাইস্কুলে সাইবার অপরাধ সহ নানা বিষয়ে সচেতনতার প্রচার চালানো হয়। ওই স্কুলের নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতার বার্তা তুলে ধরেন পুলিশ অফিসাররা।
একই সঙ্গে কম বয়সে যেন কেউ বিয়ে না করে তারও পরামর্শ দেন তাঁরা । এদিনের এই সচেতনতার প্রচারে কুলটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৃষ্ণেন্দু দত্ত-সহ শাঁকতোরিয়া ফাঁড়ির অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ অফিসার বলেন, আমরা স্কুলকে প্রচারের একটা বড় মাধ্যম বলে মনে করি। কারণ পড়ুয়ারা সচেতন হলে, তারা বাড়ির লোক বা অন্যদেরকেও তা বলবে।




Be First to Comment