Press "Enter" to skip to content

মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরে আসানসোলে বড় পদক্ষেপ পুলিশের, পুরনিগমের পুকুর ভরাটের অভিযোগে গ্রেফতার জমি ব্যবসায়ী

আসানসোল : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পরে আবারও বড় পদক্ষেপ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারটের।

আসানসোলের পলাশডিহিতে পুকুর ভরাটের অভিযোগে এক জমি ব্যবসায়ী তথা প্রোমোটারকে গ্রেফতার করল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।

শুক্রবার রাতে গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম এথেসাম আজমি ওরফে উইলসন। ধৃতর বিরুদ্ধে পুলিশ ১৯৮৪ সালের মৎস্য আইনের ১৭এ(১) নং ধারায় মামলা করে। আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় পুকুর ভরাটের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা ওই ব্যক্তিকে শনিবার আসানসোল আদালতে হাজির করা হয়।

ঘটনার আরও তদন্তের জন্য ধৃতকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য পুলিশ আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তার জামিন নাকচ করে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাস নাগাদ আসানসোল পুরনিগমের কাছে অভিযোগ আসে যে, আসানসোলের পলাশডিহি এলাকায় একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। সেই মতো আসানসোল পুরনিগম কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগে নিজেদের মতো করে তদন্ত করার পাশাপাশি আসানসোলের এসডিএলএন্ডএলআরও অফিসে বিস্তারিত জানতে চায়।
সেইমতো ওই পুকুর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সহ একটি রিপোর্ট এসডিএলএন্ডএলআরও অফিস আসানসোল পুরনিগমকে পাঠায়। তাতে বলা হয়, আসানসোল পুরনিগমে করা অভিযোগের সত্যতা আছে। এসডিএলএন্ডএলআরও অফিস থেকে ওই পুকুরের মালিক হিসেবে শ্যামল কৃষ্ণ রায় ও তাপস নন্দীর নাম বলা হয়। সেইমতো, সাড়ে তিন মাস আগে গত ১৪ আগষ্ট আসানসোল পুরনিগমের ৫ নং বোরো অফিসের এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রজিৎ কোনার দুই মালিকের নাম সহ পুকুর ভরাটের অভিযোগ দায়ের করেন আসানসোল উত্তর থানায়।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই মালিকের নাম সহ এফআইআর করে তদন্তে নামে। তারপর শুক্রবার সেই পুকুর ভরাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জমি ব্যবসায়ী তথা প্রোমোটিংয়ের যুক্ত এথেসাম আজমি ওরফে উইলসন।

এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, তদন্তে দেখা গেছে অনেক আগেই পলাশডিহির বাসিন্দা পুকুরের দুই মালিক তাদের পুকুর বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে সেই পুকুর ভরাট করা হয়েছে। তাই আসানসোল পুরনিগমের অভিযোগের ভিত্তিতে মুল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

এদিকে, ধৃত উইলসনের সঙ্গে একটি বড় রাজনৈতিক দলের অনেক বড় নেতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় তার বিভিন্ন আবাসিক প্রকল্প করা হয়েছে। বিষয়টি শুধু মাত্র পুকুর ভরাট, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো গল্প আছে তা এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে, লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার এতদিন পরে পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

তাদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিতেই কি পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে উঠল ?

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *