Press "Enter" to skip to content

প্রতি মাসে একটি করে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির, অনন্য ব্যতিক্রমী চিকিৎসক হয়ে উঠেছেন ডা. সৌরভ লো

বাঁকুড়া: বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীর জীবনের লক্ষ্য’ হল ডাক্তার হাওয়া । তাদের বক্তব্য হল, ডাক্তার হয়ে গ্রামের গরীব মানুষেদের চিকিৎসা করতে চায় । সেইসব ছাত্র ছাত্রীদের অনেকেই পরবর্তীকালে ডাক্তার হলেও, খুব কম সংখ্যক চিকিৎসককে গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করতে দেখা যায়।

নাম, যশ ছড়িয়ে যাওয়ার পর হয়ে ওঠে ‘ডুমুরের ফুল’।
কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাঁকুড়ার জেলা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. সৌরভ লো এক অনন্য ব্যতিক্রমী চিকিৎসক। এমডি করার সময় হিরবাঁধের গ্রামীণ এলাকার গরীব মানুষদের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসেন তিনি ।

গ্রামের মানুষদের জীবনযাত্রা ও রোগ নিয়ে সমীক্ষা করার সময় তিনি লক্ষ্য করে দেখেছিলেন এখানকার ১৫ % মানুষ ডায়াবেটিস এবং ২৫ % মানুষ উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগের শিকার।

তখনই তিনি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার এবং তাদের এই সমস্ত রোগগুলি সম্পর্কে সুচিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন।পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি মাসে একটি করে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির করারও সিদ্ধান্ত নেন।

সেগুলি যে সংকল্প ছিল না ২৮ শে মার্চ বাঁকুড়ার রাইপুর গ্রামীণ সেবা কেন্দ্রে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে তিনি তার প্রমাণ রাখলেন।

জানা গেছে, শিবিরে সংশ্লিষ্ট সেবা কেন্দ্রের সহযোগিতায় এলাকার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পান।

রক্ত পরীক্ষা ছাড়াও বিনামূল্যে তাদের হাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ তুলে দেওয়া হয়। সহযোগিতার জন্য কল্যাণবাবু-সহ সেবা কেন্দ্রের প্রত্যেক কর্মী, ডাক্তার বন্ধু ও ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থাগুলির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ডা. লো বলেন, এইসব রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধের পাশাপাশি জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভাস পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। এটাই আমি রোগীদের সামনে তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি। এই বিষয়গুলি এলাকায় গিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করেছি।

প্রসঙ্গত ডা. লো বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস ও এমডি করেছেন। বর্তমানে তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে শান্তিনিকেতন বোলপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *