রানিগঞ্জ : বাংলা বনধের দিন বুধবার রানিগঞ্জে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন একাধিক বিজেপি কর্মী ও সমর্থক।
এমনটাই দাবি পদ্ম শিবিরের। তার প্রতিবাদে ও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মীদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে রানিগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা।
আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে হওয়া এই বিক্ষোভে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা রানিগঞ্জ থানার সামনে তিনটি সারিতে থাকা ব্যারিকেড উপড়ে ফেলেন। যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের। থানার সামনে কয়েকশো পুলিশ কর্মী বিজেপির এই আন্দোলন রুখে দাঁড়ানোয়, চলে প্রতিবাদ।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রানিগঞ্জ থানার সামনে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় ও সম্পাদক অভিজিৎ রায়। এদিনের বিক্ষোভ আন্দোলন থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার পাশাপাশি রানিগঞ্জ থানার পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন অগ্নিমিত্রা পাল।
এদিন দুপুরে রানিগঞ্জের ডলফিন ময়দান থেকে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলা ও ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ডাকে মিছিল বেরোয়। রানিগঞ্জ বাজার এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়ে রানিগঞ্জ থানার সামনে আসে সেই মিছিল। বিজেপির আন্দোলন থেকে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আগে থেকেই রানিগঞ্জ থানার সামনে পুলিশের ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড ছিল। রাজ্য বিজেপি নেত্রী তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা থানার গেটের সামনেই পুলিশের বিশাল বাহিনীর উপস্থিতিতে ব্যারিকেডকে একপ্রকার উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের বাধায় তা সম্ভব না হওয়ায় , পরে থানার সামনেই রাস্তার উপর বসে চলে বিক্ষোভ।
এদিন অগ্রিমিত্রা পাল বলেন, কলকাতায় ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে হামলার করা হয়েছিলো। তারই প্রতিবাদে, বুধবার সারা রাজ্য জুড়ে বনধ কর্মসূচি পালন করা হয়। আর সেই বনধ কর্মসূচিতে রানিগঞ্জে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই সময় তাদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায় তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকেরা। তিনি দাবি করে, “স্থানীয় তৃণমূল নেতা বোরো চেয়ারম্যান ও এক কাউন্সিলার সহ চারজনের উপস্থিতিতে এখানের তৃণমূল দুষ্কৃতীরা দলের কর্মীসমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে”। মারধর করে গুরুতর আহত করা শুধু নয়, মহিলাদের সাথেও শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, এই ঘটনায় যুক্ত থাকায় অপরাধীদের পুলিশ যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার না করে, তাহলে আন্দোলন আরো তীব্রতর করা হবে। অগ্নিমিত্রা পাল এদিনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের দাবি করেন। তিনি বলেন, “দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে যা বলেছেন, তা দেশদ্রোহিতার সমান। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলছি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে, ইউএপিএ ধারায় মামলা দেওয়া হোক”।




Be First to Comment