Press "Enter" to skip to content

পঞ্চাশ পেরোল উত্তর গড়ালবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্রুত পরিকাঠামোগত উন্নয়নের আবেদন

অভিষেক সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে দ্রুত পরিকাঠামোগত উন্নয়নের আবেদন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের আবদার ফেলতে পারলেন না সংসদ চেয়ারম্যান। ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সদ্য পঞ্চাশ পেরোনো উত্তর গড়ালবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন সংসদ চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায়।

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের রেশ তখনও কাটেনি। লোকের মুখে মুখে ঘুরছে মুক্তিযুদ্ধের কথা। স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে কমবেশি দু-আড়াই কিলোমিটার দূরে ভারতীয় ভূখন্ডে বছর তিনেক বাদেই প্রতিষ্ঠা হয় উত্তর গড়ালবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।এই প্রত্যন্ত এলাকার শিশুদের প্রাথমিক পাঠ তখন থেকেই এই স্কুলে। সময় বদলেছে। সেদিনের খোলা সীমান্ত আজ আর নেই। কাঁটাতারের বেড়ার দুপাশে আলাদা অস্তিত্ব দুই দেশের নাগরিকদের। ইংরেজি মাধ্যমের দাপটের যুগেও গুরুত্ব হারায়নি এই স্কুল। তবে কালের নিয়মে বয়স বেড়েছে এই প্রাথমিক স্কুলেরও। মঙ্গলবার সাড়ম্বরে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান হল স্কুল চত্বরে।

এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির রইলেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায়, সদর পশ্চিম মন্ডলের এসআই নাতাশা পারভিন প্রমুখ। জানা গিয়েছে, ১৯৭৪ সালের ১২ মার্চ এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়। স্কুলের ৫০বছর পূর্তিতে শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত টিআইসি দীপঙ্কর রায় বলেন, “সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাদের স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি সংলগ্ন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও অংশ নিচ্ছে। এর পাশাপাশি জলপাইগুড়ি থেকে এসেছেন বহিরাগত শিল্পীরা।”

তাঁর আরও সংযোজন, অর্ধশতাব্দী প্রাচীন এই স্কুলে ক্লাসঘর অপ্রতুল। মোট ৮৩ জন খুদে পড়ুয়া রয়েছে তাঁর স্কুলে। অতিরিক্ত একটি বা দুটি ক্লাসরুম নির্মাণ করা হলে পঠনপাঠনে সুবিধে হবে।

এ দিকে স্কুলের পাশেই বড় রাস্তা রয়েছে।শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমানা প্রাচীর করার আবেদন সংসদ চেয়ারম্যানকে জানান তিনি। সংসদ চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায় বলেন,”সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিশুদের জন্য কিছু করার মানসিকতা রয়েছে শিক্ষকদের।” স্কুলের সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে।”

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *