অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এ বার ভূপতিনগের আক্রান্ত এনআইএ অফিসাররা। তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। সেই ঘটনায় ২ জন অফিসার আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। শনিবার ভোরে অভিযুক্তদের সন্ধানে গ্রামে ঢুকেছিলেন এনআইএ অফিসাররা। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। সেই সময়ই তাঁদের তল্লাশিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এনআইএ সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতা বলাই মাইতিকে আটক করে মনোব্রত জানার বাড়িতে যখন এনআইএ আধিকারিকরা পৌঁছন, তখন হঠাৎ করে গ্রাম থেকে মহিলা এবং পুরুষ মিলিয়ে কয়েক’শ লোক এনআইএ-র গাড়ি আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। তারপর কেন্দ্রীয় বাহিনী ভিড় সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়।
ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দাবি করা হয় বিক্ষোভকারীদের তরফে। দুই তরফে বচসা চলার পর এনআইএর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। পুরো টিমের মধ্যে দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে গিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। আদালতের নির্দেশে সেই বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিল এনআইএ-র হাতে। আদালতের নির্দেশ মতোই তাঁরা সেখানে তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। তদন্তে গিয়েই হামলার মুখে পড়তে হল এনআইএ আধিকারিকদের।
এনআইএ আক্রান্ত হওয়ার পর মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ভূপতিনগরে এনআইএ-র উপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রায়গঞ্জের সভা থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “নিয়ম অনুযায়ী পুলিশকে জানিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল। মাঝরাতে যদি গ্রামের লোক দেখেন কিছু লোক আসছেন, তাঁরা কীভাবে বুঝবেন? ভোটের আগে কেন গ্রেফতার করবে?” অন্য দিকে, ভূপতিনগরে এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি, পুলিশ সুপার (পূর্ব মেদিনীপুর), এসডিপিও ও ভূপতিনগরের ওসি-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।




Be First to Comment