চলছে নাড়ু তৈরি। ছবি: প্রতিবেদক
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : হিন্দু ধর্মে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর
গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি বছর ভাদ্রপদে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে সারা দেশে মহা আড়ম্বর সহকারে পালিত হয় ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন। জন্মাষ্টমী থেকেই উৎসবের সূচনা বলেই অনেকেই মনে করে। জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ তালের বড়া, নারকেল নাড়ু এই ধরনের বিভিন্ন প্রসাদ নিবেদন করা হয়। এই উৎসবের আগে মা-ঠাকুরমা নিজেরাই তাদের হাতে বানিয়ে নিতেন এই ধরনের বিভিন্ন নাড়ু। তবে এখন সময় বদলেছে মানুষের কাজ বেড়েছে যার কারণে এখন আর সেভাবে বাড়িতে এই ধরনের প্রসাদ তৈরি করতে দেখা যায় না। ভরসা করতে হয়। দোকানেরই উপরে।
মূলত ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এবং রোহিণী নক্ষত্রে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। আর সেই তিথি নক্ষত্র অনুযায়ীই পালিত হয় জন্মাষ্টমী। মোটমুটি ধনী, দরিদ্র, সাবেকি এবং আধুনিক হিন্দুরা এই দিনটি পালন করে থাকেন নিজের নিজের সাধ্য মতো। তাই প্যাকেটবন্দি নারকেল নাড়ুর লাড্ডু এই ধরনের প্রসাদের চাহিদা এখন তুঙ্গে উঠেছে। প্যাকেট করা নারকেলের নাড়ু মতিচুরের লাড্ডু বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে।

নাড়ুর জোগান দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার বহড়ু ও সংলগ্ন এলাকায় ঘরে ঘরে কারখানাতে নারকেলের নাড়ু মতিচুরের লাড্ডু আরো বিভিন্ন ধরনের জন্মাষ্টমী প্রসাদ বানাচ্ছেন মহিলারা। সেখান থেকেই প্যাকেটবন্দি নাড়ু চলে যাচ্ছে কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন বাজারেও।
এ প্রসঙ্গে এক ব্যবসায়ী বলেন সামনে জন্মাষ্টমী আর যার জন্য এই ধরনের বিভিন্ন নাড়ুর চাহিদা তুঙ্গে যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আগে প্রায় বাড়িতে জন্মাষ্টমীর আগে নিজেরাই বানিয়ে ফেলতো। তবে এখন আর সেভাবে বাড়িতে বানানো দেখতে পাওয়া যায় না। দোকানের উপরেই ভরসা করে। আর তাই আমাদের এখান থেকে এই ধরনের নাড়ু প্যাকেট বন্দি হয়ে বিভিন্ন বাজারে পাইকারি হিসেবে চলে যাচ্ছে।




Be First to Comment