Press "Enter" to skip to content

মাসাধিক সময় অতিক্রান্ত, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ এখনও টাকা পেল না

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ আজও টাকা পাননি। মাসাধিক কাল কেটে গেলেও মেরামতির টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ। নিরুপায় হয়ে পাশে থাকা দাদার বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছে দক্ষিণ সুকান্ত নগরের মিন্টু সাহা-র পরিবার। সে বাড়ির ওপরে আবার ত্রিপলের আচ্ছাদন।

নিজের বাড়ি ভেঙেচুরে শেষ। বর্ষা এলে কী হবে এই ভাবনায় অস্থির দক্ষিণ সুকান্ত নগরের বাসিন্দা ওই পরিবারের সদস্যরা।সেই বিপর্যয়ের পরে বাড়ির অবশিষ্ট অংশের টিন, খুঁটি ফাঁকা এক জায়গায় ডাঁই করে রাখা। ওই ফাঁকা জায়গাতেই এক সময় ছিল মিন্টুর বাড়ি। সে সব আজ অতীত৷ কর্মসূত্রে পরিবার সহ বাইরে থাকেন দাদা দুলাল সাহা। নিরুপায় হয়ে তাঁর বাড়িতেই দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে রয়েছেন মিন্টু।

মিন্টুর স্ত্রী কাঞ্চন বলেন, “ভাসুরের বাড়িও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিনের চাল উড়ে যাওয়ায় ত্রিপল টাঙিয়েছি। মাঝারি বা ভারি বৃষ্টিপাত হলে ঘরের সব সামগ্রী ভিজে যাবে।”৩১শে মার্চের ঘূর্ণিঝড় বদলে দিয়েছে শহর সংলগ্ন তিস্তা পাড়ের জীবনযাত্রা। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মিন্টুরাও।

তিনি বলেন, “আশ্বাস পেয়েছি। তবে, আজও অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। দাদার বাড়িতে এ ভাবে কত দিন থাকব?” লোস্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহাদেব রায় বলেন, “প্রশাসন কে বিষয়টি জানিয়েছি। তবে, ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছু সমস্যা ছিল।”

সরকারি সহায়তার দাবিতে কিছু দিন আগে বাঁধের রাস্তা আটকে আন্দোলন করেছিলেন দক্ষিণ সুকান্ত নগরের বাসিন্দাদের বড় অংশই। প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন বাসিন্দারা।

তবে, এখনও টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ওই এলাকার দীপেন সেন, কাকলি সেন -সহ বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এত দিন হলেও টাকা অ্যাকাউন্টে না ঢোকায় তাঁরা ঘর মেরামতির কাজে হাত লাগাতে পারছেন না। প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত পদক্ষেপের দাবিও তাঁরা জানিয়েছেন।

জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক শামা পারভীন বলেন, “প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন পদক্ষেপ করছে।”

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *