Press "Enter" to skip to content

সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন দিল্লি ভোটের রেজাল্টের প্রসঙ্গ, লক্ষ্য ২০২৬, পশ্চিম বর্ধমানের সব আসন জিততে বার্তা আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতির

আসানসোল : রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির তরফে শনিবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এই সমাবেশে মুখ্য অতিথি হিসেবে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি ছাড়াও তৃণমূল এবং তৃণমূলের সব শাখা সংগঠনের পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রমিক সমাবেশের উদ্বোধন করেন উপস্থিতি অতিথিরা।

এদিনের শ্রমিক সমাবেশে শ্রমিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের ভূমিকা তুলে ধরেন ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় সহ অন্য নেতারা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়, সুকৌশলে দিল্লি ভোটের রেজাল্ট প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে প্রবণতা এসেছে তা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তবে, ভোটার তালিকায় অনিয়ম সম্পর্কে সংসদে আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং যে বাস্তবসম্মত বক্তব্য দিয়েছেন তা নিয়ে সকলের ভাবা উচিত। আশা করি আপ নেতৃত্ব অবশ্যই তাদের দলের হারের কারণ পর্যালোচনা করবে। তৃনমুল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও আলোচনা করে তাদের মতামত জানাবে। তিনি বলেন, আইএনটিটিইউসি এমন কোনও সংগঠন নয় যা কেবল নির্বাচনের আগে সক্রিয় হয়ে উঠে। এই সংগঠনটি সারা বছর ধরে শ্রমিক স্বার্থের জন্য লড়াই করে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধান সভা নির্বাচন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চতুর্থবারের সরকার গড়তে এই পশ্চিম বর্ধমান জেলার সবকটি আসন জিততে আইএনটিটিইউসি একটা বড় ভূমিকা অবশ্যই নেবে।

তার জন্য সবাইকে এখন থেকেই লড়াইয়ে নামতে হবে। তিনি বলেন, কলকাতায় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিরা অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলার শিল্প ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে তারা যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তা প্রমাণ করে যে ২০১১ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শিল্পায়নকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভাবতে অবাক লাগে আমুলের মতো গুজরাটের একটি কোম্পানিও বাংলায় দেশের বৃহত্তম দই তৈরির কারখানা স্থাপন করতে চায়।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *