কল্যাণেশ্বরী: যেকোনো মুহূর্তে প্রাণ যেতে পারে, তারপরও বেপরোয়া যুবকরা ।প্রচন্ড গরম থেকে সামান্য স্বস্তি পেতে সালানপুর ব্লক সহ দূর-দূরান্ত থেকে যুবকদের ভিড় ক্রমাগত বেড়ে চলেছে মাইথনের “অমর ঝর্ণা” বিপজ্জনক জলাশয়ে। প্রতি বছর এই বিপজ্জনক জলাশয়ে স্নান করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ যাওয়ার ঘটনা ঘটে । তারপরও কোনো হেলদোল নেই সাধারণ মানুষের ।
ডিভিসি এবং পুলিশের পক্ষ থেকে এই “অমর ঝর্ণা” জলাশয় যাওয়ার রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে । কিন্তু তারপরেও প্রচণ্ড গরম থেকে সামান্য স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে বেপরোয়া যুবকরা ছুটে আসছে এই “অমর ঝর্ণা” জলাশয়ে স্নান করতে ।
উল্লেখ্য, সালানপুর থানার কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির অন্তর্গত মাইথন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ তৈরির পর এক প্রকার ‘ওয়েস্ট’ জল বের হয়ে বরাকর নদীতে মিশে যায় ।সেই জলাশয়ের জলের প্রচন্ড টান রয়েছে । ওই জলাশয়ে কেউ স্নান করতে নামলে তার প্রাণ হানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।তাই সাধারণ মানুষ ওই জলাশয়ের নাম দিয়েছে “অমর ঝর্ণা”। প্রায় প্রতি বছরই এই জলাশয়ে স্নান করতে গিয়ে মানুষের প্রাণ যায় ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর আসানসোল থেকে মাইথন ঘুরতে এসে এই জলাশয়ে নেমে একজনের মৃত্যু হয়। তাসত্বেও এলাকার যুবকরা এই বিপজ্জনক জলাশয়কে নিজেদের মজার সুইমিংস্থান হিসিবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে । এর পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফার এবং ব্লগার এসে ভিডিও করে প্রচার চালিয়ে সাধারণ যুবকদের প্রলোভিত করছে এই জলাশয়ে স্নান করতে আসার । তবে অনেকেই হয়তো জানেন না এটা একটা বিপজ্জনক জলাশয় ।

এখানে স্নান করতে গিয়ে অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ও কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশের উচিত ওই জায়গায় কাউকে না যেতে দেওয়া। অবশ্য তাদের তৎপরতা চোখে পড়ে কোনও দুর্ঘটনা ঘটার পর।۔কিন্তু সাধারণ মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন ।মানুষের প্রাণ বাঁচাতে হলে সম্পূর্ণ ভাবে এই রাস্তা বন্ধ করার দাবি জানানছেন এই অঞ্চলের মানুষ। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, তারা বারণ করলেও তাদের কথায় কেউ কান দেয় না।



Be First to Comment