সালানপুর: রেশনের নামে অখাদ্য আটা দেওয়ার অভিযোগ। বরাভুইয়ের গ্রামবাসীরা পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর বিডিও অফিসের সামনে রাস্তায় নেমে এলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। হাতে তুলে নিয়েছেন সেই আটার প্যাকেট, যা দেখিয়ে তাঁরা বলছেন, “মানুষের খাওয়ার যোগ্য নয়।” রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়েছে সেই আটা। চিৎকারে ফেটে পড়েছে তাদের ক্ষোভ “এই আটা কী করে আমাদের দেওয়া হয়? এই আটা কি প্রশাসন নিজে খাবে?”
রেশন গ্রাহকদের মতে, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, পশ্চিম বর্ধমানের রেশন ব্যবস্থা গরিব মানুষের সঙ্গে প্রতারণার এক কদর্য খেলায় মেতেছে। সালানপুরে এই অভিযোগ নতুন নয়। বারবার অভিযোগ উঠেছে, সংবাদ মাধ্যমে খবর হয়েছে, অভিযোগ জমা পড়েছে।
কিন্তু ফলাফল কী? প্রশাসনের তরফে পরীক্ষা হয়েছে, আর সেই আটাকে দেওয়া হয়েছে ‘ক্লিন চিট’। প্রশ্ন উঠছে. এ কেমন প্রশাসন, যারা গরিবের ক্ষোভকে উপেক্ষা করে, তাদের কষ্টকে উপহাস করে? আজ বরাভূইয়ের গ্রামবাসীরা শুধু আটার প্যাকেট ছুড়ে ফেলেনি, তারা ছুড়ে ফেলেছে সেই নিঃশব্দ অবিচারের বিরুদ্ধে তাদের ন্যায্য ক্ষোভ।তারা চিৎকার করে বলেছে, “এই আটা বিডিও সাহেবকে খাওয়ানো হোক, তবেই বোঝা যাবে এর মান কতটা নীচে!” এই কথায় শুধু ক্ষোভ নয়, রয়েছে প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার প্রতি তীব্র কটাক্ষ। রেশন ডিলারদের উপরও তাদের আঙুল উঠেছে। কেন এমন নিম্ন মানের সামগ্রী বিতরণ হচ্ছে?

গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, “আমরা গরিব, তাই কি আমাদের এই অখাদ্য গলাধঃকরণ করতে হবে?” বরাভূই গ্রামবাসীরা সোমবার বিডিও অফিসের সামনে আটার প্যাকেট হাতে বিক্ষোভ দেখায়। বিডিওকে স্মারকলিপি দিতে গেলে বিডিও দুজনকে আসতে বলে, অবশেষে বিডিও অফিসের বাইরেই তারা স্মারকলিপি ও আটার প্যাকেট সাটিয়ে দিয়ে যায়।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আগামী দিনে নিম্ন মানের রেশন দেওয়া হলে তারা এই আন্দোলন বৃহত্তর করবে।
তবে এই প্রসঙ্গে বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস জানান, এই কর্মসূচি নিয়ে তাদের কাছে আগাম কোনো ইনফরমেশন ছিল না। তাও দুজনকে আসতে বলা হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে ফুড ডিপার্টমেন্টের সাব-ইন্সপেক্টর বিনেশ্বর রায় জানান, এর আগেও তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আটার নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে রিপোর্টে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছে।



Be First to Comment