Press "Enter" to skip to content

বর্ধমান-দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষ হারলেও তৃণমূলের থেকে কার্যত মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে শহর দুর্গাপুর

দুর্গাপুর : বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে সাতটি বিধানসভা । সেই অনুযায়ী,দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভায় কীর্তি আজাদ ভোট পেয়েছেন ৮৫,৪৩০ টি । আর বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ পেয়েছেন ৯৭,১১২ টি ।দিলীপ ঘোষ লিড পেয়েছেন ১১,৬৮২ ভোটে । দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের আসন । এখানে কীর্তি আজাদ পেয়েছেন ৮৫,৩৯০ ভোট, আর দিলীপ ঘোষ পেয়েছেন ৮৩,৬৯৭ ভোট । লিড পেয়েছেন কীর্তি আজাদ ১,৬৯৩ ভোটে । পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বিধানসভায় সেভাবে লিড আসেনি, কার্যত শহর দুর্গাপুর মুখ ঘুরিয়েছে নিয়েছে তৃণমুলের থেকে।

বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভায় কীর্তি আজাদ পেয়েছেন ৯২,৬৯২ ভোট, সেখানে দিলীপ ঘোষ পেয়েছেন ৮৫,৪০৪ ভোট । লিড পান কীর্তি আজাদ সাত হাজারের বেশি ভোটে । মন্তেশ্বর বিধানসভায় কীর্তি আজাদ পেয়েছেন ১,১৩,৪৩৮ ভোট, সেখানে দিলীপ ঘোষ পেয়েছেন ৬৭,৬৯৬ ভোট । অর্থাৎ ৪৫,৭৪২ ভোটে লিড পান কীর্তি আজাদ । বর্ধমান উত্তর বিধানসভায় কীর্তি আজাদ ভোট পেয়েছেন ১,২৩,৩৬৮ ভোট, আর সেখানে দিলীপ ঘোষ পেয়েছেন ৬৭,৬৯৬ ভোট । লিড আসে ৫৫,৬৭২ ভোটে । ভাতার বিধানসভায় কীর্তি আজাদ পেয়েছেন ১,০৯,৫০১ ভোট, আর দিলীপ ঘোষ পেয়েছেন ৭৭,০৮১ ভোট । লিড পেয়েছেন কীর্তি আজাদ ৩২,৪২০ ভোটে । গলসি বিধানসভায় কীর্তি আজাদ ১,০৭,২৫০ ভোট, আর দিলীপ ঘোষ পেয়েছেন ৮৬৪৯৬ ভোট । কীর্তি আজাদ লিড পেয়েছেন ২০,৭৫০ ভোটে ।

এই পাঁচ বিধানসভার ভোটাররা হিন্দুত্বকে পাত্তা দেয়নি, তাঁরা বেছে নিয়েছেন তৃণমূলের জনমুখী প্রকল্পকে । তৃণমুল বিরোধী হওয়াকে এক ফোঁটাও পাত্তা দেয় নি ।আর দুর্গাপুর শিল্প শহরে ভোটের ফল পরিস্কারভাবে যে ছবি ফুটে উঠছে, তা হলো শিল্পের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা, শাসক দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দুই বছর যাবৎ পুরো নিগমের নির্বাচন না করা, নগর নিগমের সঠিক পরিষেবা না পাওয়া, জার্সি বদলু নেতাদের দলে গুরুত্ব দেওয়া, কর্ম নিয়ে হতাশাগ্রস্থ নতুন প্রজন্মের ভোট এবং হিন্দিভাষী ভোট তৃণমুলের দিকে যায়নি ।আর বর্ধমান পূর্বে গ্রামীণ ভোটারেরা মুখ্যমন্ত্রীর জনমুখী প্রকল্পের সুফল পেয়েছেন, কৃষক বন্ধু,স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, গ্রামীণ ভোটারদের উপরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে । তাই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে দুহাত উজাড় করে ভোট দিয়েছেন, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *