অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, আসানসোল : ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবারে অনেকটাই কম ভোট পড়ল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে। এটা কিসের ইঙ্গিত ? সেই নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন রকম কথা বললেও, বিজেপি কিন্তু হাসছে।
অনেকের বক্তব্য, ভোটের হার বেশি হলে সেটা নাকি শাসক দলের পক্ষে যাওয়ার ইঙ্গিত । তাহলে এবার আসানসোলে কি হবে ? বিজেপি কি ভালো রেজাল্ট করবে ?
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোট শেষ হওয়ার ২৪ ঘন্টা পরে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে এবারে ভোটের হার ৭৩.২৭ শতাংশ।

২০১৪ সালে আসানসোলে ভোটের হার ছিল ৭৭.৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে এই ভোটের হার ছিল ৭৬.৬২ শতাংশ। ২০১৯ এবং ২০২৪-এর মাঝে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল।
এবারের নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রের মধ্যে যে সাতটি বিধান সভা আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পান্ডবেশ্বরে ৭৬.৪৭ শতাংশ। এই বিধানসভার বর্তমান বিধায়ক হলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
সবচেয়ে কম ভোটের হার হয়েছে আসানসোল উত্তর বিধান সভায় ৭১.১৬ শতাংশ। এই কেন্দ্রের বিধায়ক হলেন রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।
পান্ডবেশ্বরের পরে ভোট শতাংশের হারে দ্বিতীয় বারাবনি। সেখানে ভোটের হার ৭৪.০২ শতাংশ। এই কেন্দ্রের বিধায়ক হলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়।
রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া বিধানসভায় ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৭৩.৮১ ও ৭৩.৬৬ শতাংশ। এই দুই কেন্দ্রের বিধায়ক হলেন তৃনমুল কংগ্রেসের তাপস বন্দোপাধ্যায় ও হরেরাম সিং।
আসানসোল কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে দুটি বিজেপির দখলে আছে। সেগুলি হলো আসানসোল দক্ষিণ ও কুলটি। এই দুটিতে এবারে ভোটের হার হল ৭২.০২ ও ৭২.৭০ শতাংশ। এই দুই বিধানসভার বিধায়ক হলেন অগ্নিমিত্রা পাল ও ডাঃ অজয় পোদ্দার।
অনেকে মনে করছেন, আসানসোল দক্ষিণ ও কুলটি বিধানসভা এলাকার বেশি শতাংশের ভোট বিজেপির পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।



Be First to Comment