Press "Enter" to skip to content

চতুর্থ দফা: বিজেপি, সিপিএমের আশঙ্কা ভোট লুটের চেষ্টা করবে শাসক দল! তৃণমূলের দাবি, হার নিশ্চিত জেনেই অপপ্রচার বিরোধীরা

সজল নন্দী, দুর্গাপুর : আগামীকাল, সোমবার অর্থাৎ ১৩ মে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট। ভোট হবে বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং আসানসোেল লোকসভা কেন্দ্রেও। সেক্ষেত্রে অবাধ নির্বাচনের আশ্বাস প্রশাসনের। বিজেপি এবং সিপিএম-এর আশঙ্কা ভোট লুটের চেষ্টা করবে তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, হার নিশ্চিত তাই অপপ্রচার করছে বিরোধীরা ।

বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র আছে তার মধ্যে বর্ধমান দক্ষিণ, বর্ধমান উত্তর, মন্তেশ্বর, ভাতার ও গলসি বিধানসভার আরসি ভেনু করা হয়েছে বর্ধমান ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে। আর দুর্গাপুর পশ্চিম ও দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ডিসিআরসি ভেনু করা হয়েছে দুর্গাপুর গভঃ কলেজে ।

অন্যদিকে আসানসোেল লোকসভা কেন্দ্রের ডিসিআরসি করা হয়েছে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ধাদকা পলিটেকনিক কলেজ ও রানীগঞ্জের এসকেএ স্কুলে।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা আসনে ২০৩৯ টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ৪২২টি। মোট ভোটার ১৮,৫১,৭৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯,২৯,৬২৮ জন, মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৯,২২,১২৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার২৫ জন । আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা আসনে ১,৯০১টি বুথে ভোট গ্রহন করা হবে। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে৩১৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১৭,৭০,২৮১। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯,০৩,৪০৬ ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ৮,৬৬,৮৩৭। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৩৮জন।প্রতিটি পোলিং স্টেশনে থাকছে সরাসরি ওয়েব ক্যাস্টিং এর ব্যবস্থা।

প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, অবাধ নির্বাচনের জন্য মোতায়েন থাকছে ৮২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং থাকবে ৫৭৭২ জন রাজ্য পুলিশ। প্রতিটি ভোটগ্রহন কেন্দ্র থাকবে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি।

প্রশাসন শান্তিপূর্ণ ভোটের আশ্বাসের দিলেও বিরোধীদের আশঙ্কা ভোট লুটের চেষ্টা হতে পারে। শাসক দল ভোট লুটের ষড়যন্ত্র করছে বলে আশঙ্কা তাদের।বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা লক্ষণ ঘোড়ুই রবিবার সন্ধ্যা বেলায় বলেন, প্রথম তিন দফা ভোট শান্তিতে হয়েছে তবে আসানসোল দুর্গাপুরে ভোট টাফ হবে। লক্ষণবাবু বলেন, এখানে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে শাসক দলের হার নিশ্চিত। তাই তারা ভোট লুটের চেষ্টা করবে। প্রতিটি বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্ট বসলে শাসক দলের পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যাবে । তাই বিজেপির সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের ঘরে গিয়ে গিয়ে তৃণমূল প্রভাবিত করছে । তাই নির্বাচন কমিশনকে আমরা বলেছি, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি পোলিং স্টেশনে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য। ভোট লুটে চেষ্টা হলে দলের কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে জানান লক্ষণ বাবু।

অন্যদিকে সিপিআইএমের জেলা কমিটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শেষ দু তিনটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল ঠিকই তবে বাহিনীকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এবারও শাসকদল তৃণমূল বাহিনীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচক কমিশনকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে, নয়তো ভোট প্রহসনে পরিণত হবে ।প্রশাসনের অবাধ নির্বাচনের আশ্বাস ও বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির নেতা ভি, শিবদাসন দাশু বলেন, এই কেন্দ্রে বিজেপির হার নিশ্চিত। সিপিআইএম নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য নির্বাচনে লড়ছে।

তিনি বলেন, বিরোধীদের কোন সংগঠন নেই, ওরা বুথে বসার জন্য পোলিং এজেন্টও খুঁজে পাচ্ছে না। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ওরা পরাজয়ের অজুহাত তৈরি করে রাখছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই। ওরাই অশান্তি চাইছে, তাই মিথ্যা অভিযোগ করে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা।

এখন দেখার প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি মতো নির্বাচন অবাধ হয়, নাকি বিরোধীদের অশান্তির আশঙ্কা সত্যি হয়?

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *