জামুরিয়া : ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে একটি কাঠ মিল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ বাজেয়াপ্ত করল বন বিভাগ। মূলত শিশু শিমুল চররা জাতীয় গাছ কেটে এখানে মজুত করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। বাজেয়াপ্ত করা গাছের গুঁড়ির পরিমাণ প্রায় ৯.৮৭ কিউবিক মিটার বলে জানা গেছে।
আসানসোল টেরিটোরিয়াল ফরেস্টের (রূপনারায়ণপুর) রেঞ্জ আধিকারিক তমালিকা চন্দ বলছেন বাজেয়াপ্ত করা কাঠগুলি অমূল্য। বিশেষ সূত্র বলছে এর আর্থিক মূল্য বহু লক্ষ টাকা। আপাতত অভিযুক্ত এই কাঠ চেরাই মিলটিকে সীল করে রেখেছে বন বিভাগ। মিলের মালিকের বিরুদ্ধে কেস রুজু করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিবছরের মতোই এবারও ৭ জুলাই থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত প্রকার গাছ কাটার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দুর্গাপুর বনবিভাগ। কিন্তু গোপন সূত্রে আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জ বিভাগ জানতে পারে জামুড়িয়া কুয়া মোড় এলাকার একটি কাঠের মিলে বিপুল পরিমাণ গাছের গুঁড়ি ঢুকছে । বিষয়টি জানা মাত্রই রেঞ্জ অফিসার তমালিকা চন্দের নেতৃত্বে বনবিভাগের একটি দল জামুড়িয়ায় হানা দেয়। সেখানে রাজেশ ভান্ডারীর শিবম স মিলে হানা দিয়ে তারা বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠের সন্ধান পান। কারণ মালিক ওইসব কাঠের কোন বৈধ নথি তাদের দেখাতে পারেননি বলে বন বিভাগ জানায়।

গতকাল বিকেল থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত ওই মিলে অভিযান চালায় বন দপ্তর। এরপর আজ ২৪ আগস্ট বন দপ্তর ওই মিলে গিয়ে মিলটিকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে আসে। ওই মিলের প্রয়োজনীয় লাইসেন্সও নেই বলে বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে। আপাতত কাঠ চেরাই মেশিনগুলিকে তালা মেরে সীল করার পাশাপাশি সমস্ত কাঠ বাজেয়াপ্ত করে মিলেই রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিস দুর্গাপুর শুনানির মাধ্যমে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করবে বলে জানা গেছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে গৌরাঙডি, বরাকর, দোমোহানি ইত্যাদি অঞ্চলে একাধিক অবৈধ কাঠ মিলের হদিশ বন বিভাগ পেয়েছে। রূপনারায়ণপুরে অবৈধ মিল না থাকলেও এখান থেকে ঝাড়খণ্ড এবং অন্যান্য অঞ্চলে কাঠ পাচারের অভিযোগ আছে। এই সমস্ত বিষয়ে বন বিভাগ কড়া পদক্ষেপ করবে বলে জানা গেছে।




Be First to Comment