সালানপুর : কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে সাতদিন ধরে নেই পানীয়জল! পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্যান্য দপ্তরে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জলের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তাই শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে পানীয়জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন কল্যাণেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন এলাকার মানুষ, ব্যবসায়ী থেকে মন্দিরের পুরোহিতরা। সোমবার সকালে দেন্দুয়া বরাকর রোডে কল্যানেশ্বরী মন্দিরের সামনে এই রাস্তা অবরোধ করা হয়।
মন্দিরের পুরোহিত, ব্যাবসায়ী ও স্থানীয় মানুষদের এই রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুলটি থানার চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের তরফে দিলীপ দেওঘরিয়া, অজয় দেওঘরিয়া, বিল্ব মঙ্গল মুখোপাধ্যায় ও পবিত্র বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, সাত দিন ধরে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পানীয়জল নেই। মন্দিরে জল না থাকার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ, ভোগ রান্না, বাসন পত্র ধোয়া সহ ভক্তদের পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

তারা আরো বলেন, পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের অনেকবার বলার পরেও সুরাহা মেলেনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছি। প্রায় আধ ঘণ্টা পথ অবরোধ চলার পর পিএইচই দপ্তরের তরফে পুলিশের মাধ্যমে পানীয়জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর রাস্তা অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
পিএইচই দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা বলেন, মন্দিরে যাতে দ্রুত পানীয়জল সরবরাহ করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কেন পানীয়জলের সমস্যা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সালানপুর ও কুলটির এইসব এলাকায় প্রচুর বেআইনি পানীয়জলের সংযোগ রয়েছে। অভিযোগ, পিএইচইর পাইপলাইন থেকে বেআইনি ভাবে জল টেনে নেওয়া হচ্ছে। পিএইচইর ইঞ্জিনিয়ারদের অনুমান, এমনই কোন কিছুর কারণে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পানীয়জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কল্যাণেশ্বরী মন্দির পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত আসানসোল মহকুমার কল্যাণেশ্বরীতে অবস্থিত। এই মন্দিরটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বরাকর নদীর তীরে অবস্থিত। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের অধীন বিখ্যাত মাইথন বাঁধের থেকে ৫ কিলোমিটার (৩.১ মা) দূরে অবস্থিত এই মন্দিরটি একটি পর্যটন আকর্ষণ।




Be First to Comment