প্রায় দুই একর জায়গার ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ। নিজস্ব ছবি
বিশেষ সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ দুধকুণ্ডি বিমান ঘাঁটিতে কলাইকুণ্ডা বায়ুসেনার মহড়া চলাকালীন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বোমা পড়ল ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের পেঁচাবিঁধা ও ধোলাই গ্রামের মধ্যবর্তী ধান জমিতে।এই ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
চাষের জমির প্রায় দুই একর জায়গার ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ। জমিতে বড় পুকুরের মতো গর্ত তৈরি হয়। নষ্ট হয় জমিতে থাকা সাবমার্সিবলের কলের ঘর ভেঙে যায়। বোমার টুকরো গিয়ে ছিটকে পড়ে পেঁচাবিঁধা গ্রামে। বোমার টুকরো ছিটকে গ্রামের নিতাই মাইতির বাড়ির অ্যাসবেস্টার ভেঙে যায়। বোমার কম্পনের এই গ্রামের কয়েকটি মাটির বাড়ির ছাদের মাটি খসে পড়ে।
চামটিডাঙা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের হাই-টেনশন তার ছিঁড়ে পড়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইনের উপর। মুহুর্তের মধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় গোটা এলাকায়। আতঙ্কে গুপ্তমনি – কুলটিকরি যাওয়ার প্রধান রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কয়েক ঘন্টা পরে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানা ও এয়ারফোর্সের পুলিশ। তারা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। এলাকার এক কৃষক বলেন, ‘বোমার আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে উঠল। মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগে জমি থেকে ঘরে ফিরেছি। ভাগ্যে সে সময় ঘটনাটি ঘটেনি।’
যাইহোক বোমাটি জমিতে পড়ায় কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। আর ৫০০ মিটার দূরে গ্রামের মধ্যে বোমা পড়লে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যেত। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, একইভাবে ২০১৯ সালের কেশিয়াপাতা মৌজার ধানের জমিতে এভাবে বোমা পড়েছিল। তবে সে সময় এত ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ বারে সাবমার্সিবল কলের ঘরটি ভেঙে গিয়েছে। মেশিন যদি নষ্ট হয়েছে তাহলে সমস্যা পড়বেন কৃষকরা। সেটির উপর ভরসা করে এলাকার ৫০ বিঘা জমিতে ধান চাষ হয়।
Be First to Comment