প্রবোধ দাস, পুরুলিয়া: বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় এসেছেন বিজেপি নেতা এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন সকাল থেকেই ‘শুভেন্দু-বিরোধী’ পোস্টার লাগাতে দেখা যায় জাতীয় কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের। তা নিয়েই দিনভর ব্যাপক শোরগোল। শেষমেশ শহরে এসে কড়া জবাব দিলেন শুভেন্দু।
সকালে থেকেই নাম না করে পোস্টার পড়েছে শহরে। যাতে লেখা- ‘চাকরি চোর দূর হটো’। এ ব্যাপারে রঘুনাথপুর শহর জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট তারক পরামানিক বলেন, “রঘুনাথপুর শহরে শুভেন্দু অধিকারীর মতো অসৎ ব্যক্তি আসছেন। এমন খবর পেয়ে আমরা রঘুনাথপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় এক হাজারেরও বেশি পোস্টার লাগিয়ে জনগণকে আরও মনে করিয়ে দিতে চাই। এই শুভেন্দু অধিকারী মেদিনীপুরের ছেলে-মেয়েদের পুরুলিয়া শহরে চাকরি দিয়েছিলেন আর পুরুলিয়া শহরের ছেলে-মেয়েদের চাকরি চুরি করেছিলেন। সেই শুভেন্দু অধিকারী যাতে রঘুনাথপুর শহরে না আসেন তার জন্য আমাদের এই পোস্টার দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য।”
কংগ্রেসের এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, “চাকরি যে চুরি হয়েছে, সবাই জানে। আর মোদীজি ছিলেন বলে, ভারত সরকারের এজেন্সি ছিল বলে আজকে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়রা জেলে গিয়েছেন। কংগ্রেসের যখন সরকার ছিল, ২০১৪ পর্যন্ত সারদা, রোজভ্যালিতে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টাচ করেনি মনমোহন সিংয়ের সরকার।”
তৃণমূল কংগ্রেসের ১৪ বছরের শাসনে তিন বার বদল হয়েছে বিরোধী দল। সেই প্রসঙ্গে টেনেই শুভেন্দু বলেন, “মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। মোদীজি ছিলেন বলে আজকে রেশন, শিক্ষা, খাদ্য- সব দফতর জেলের ভিতরে। মোদীজি না থাকলে এগুলো কিছুই হতো না। মানুষ জানে ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিপিএমের বিরোধী দলনেতা, আর ২০১৬ থেকে ২০২১ কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আর বিজেপি বিরোধী দলনেতা- তিনটে দলেরই ভূমিকাই মানুষ দেখছে।”
Be First to Comment