দিনেদুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে ঢুকে লুঠপাট, সন্দেহে ঝাড়খণ্ডের ডাকাত দল

রানিগঞ্জ : হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, পরপর ৬-৭ জন সশস্ত্র ডাকাত রানিগঞ্জের একটি সোনার দোকানে ঢুকে লুঠপাট চালায়।এদের অনেকেই মাথায় হেলমেট পরেছিল।পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পরেও দুটি বাইক নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু এরা কারা?

পুলিশ সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এরা ঝাড়খন্ডের ধানবাদের কুখ্যাত এক ডাকাত দলের কাজ। দিনেদুপুরে এরা এই ধরনের অপরাধের কারনে খনি অঞ্চলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রানিগঞ্জ থেকে পালিয়ে যেতে পেরেছে এই ডাকাত দলটি? জানা গেছে, নিমচার জঙ্গলে এই ডাকাতদলটি আত্মগোপন করেও থাকতে পারে। সোনার দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে রানিগঞ্জ থানার পুলিশ।সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি রুখতে চলল ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের লাগাতার গুলির লড়াই। রানিগঞ্জের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দিনে দুপুরে সেনকো গোল্ড-এ ঘটে গেলো চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা ।

এদিন দুপুর ১২ টা ১৫ নাগাদ ৮ সদস্যের ডাকাত দল অত্যাধুনিক কার্বাইন۔সহ সব আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সোনার দোকানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষিদের বন্দুক কেড়ে নিয়ে দোকানের ভেতরে ঢুকে দোকানের মধ্যে থাকা সমস্ত কর্মী ও ক্রেতাদের বন্দুকের নিশানাই রেখে ১০-১৫ মিনিট ধরে লুটপাট চালায়। এই ডাকাতির ঘটনা বুঝতে পেরে বাইরে থাকা পুলিশ ডাকাত দলের কয়েকজনের উদ্দেশ্যেই গুলি ছুঁড়তে থাকলে পাল্টা ডাকার দলের পক্ষ থেকেও লাগাতার গুলি ছোড়া হয়।

এই ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ ধরে গুলির লড়াই চলতে থাকে। পুলিশ দ্রুত সক্রিয় হয়ে ডাকাতদের উদ্দেশ্যে গুলি করতে থাকায় ডাকাত দলের একজন এই ঘটনায় আহত হয়। যদিও দ্রুতগতিতে তারা বাইক নিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। এই ঘটনায় দোকানের মধ্যে থাকা বেশ কিছু সোনার গহনা ডাকার দল লুট করার পাশাপাশি একটা থলি ভর্তি সোনার গহনা তারা নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলেই জানা গেছে । তবে ডাকাত দল মুহূর্তের মধ্যে ঘটনা স্থল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াই কাউকেই এখনো পর্যন্ত ধরা যায়নি।

জানা গেছে, হিন্দি ভাষাভাষী ২২,২৫ বছরের ৮ জন যুবক হঠাৎ করেই এই সোনার দোকানে ঢুকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনার সময় নিরাপত্তা রক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় ডাকাত দল।

মুহূর্তে মধ্যে এই ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়ায় আশেপাশের হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে যায় রানিগঞ্জের তার বাংলা অঞ্চলে। পুলিশ সমস্ত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহের জন্য এখন ওই সোনার দোকানের মালিকের সাথে কথা বলে সমস্ত ঘটনা জেনে নেন । এই ঘটনার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই ডাকাত দলের কাউকে ধরপাকড় করা যায় কিনা এ বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।

জানা গেছে, পুলিশের পিসি পার্টির নজরদারি সক্রিয় থাকায় ডাকাত দল এই ডাকাতির ঘটনার সময় ব্যাপকভাবে বেগ পেয়েছে। তবে দিনে দুপুরে এ ধরনের ডাকাতির ঘটনায় ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে রানিগঞ্জের বাজার এলাকায়।