অভিষেক সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: প্রথমে বামফ্রন্ট, পরে তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার আগে-পরে দু’দলই ব্যবহার করেছে সংখ্যালঘুদের। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সংখ্যালঘুরা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। সোমবার এক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এসে এমনটাই জানালেন ভারতীয় জনতা সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি কাশেম আলি মিঞা। এ দিন শহরের দয়াল ভবনে আয়োজিত হল বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সম্মেলন। সেখানেই এ কথা জানালেন তিনি।
শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ সহ রাজ্যের ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসকদল। মালদহ উত্তর বাদে ভূমিপুত্ররাই ‘তুরুপের তাস’ তৃণমূলের। এ দিকে উত্তরবঙ্গে শাসকদলের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসানোর মরিয়া চেষ্টা বিজেপির। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মনকে হারিয়ে জলপাইগুড়ি থেকে সাংসদ হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী তথা চিকিৎসক জয়ন্ত রায়। এ বার এই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও আসন ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর পদ্মশিবির। প্রার্থী ঠিক না হলেও কর্মসূচিতে খামতি রাখছেন না দলের জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী-সহ জেলার নেতারা।
এ দিন ডিবিসি রোডের জেলা বিজেপির কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি কদমতলা হয়ে দয়াল ভবনে গিয়ে শেষ হয়। এ দিনের কর্মসূচিতে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতারা ছাড়াও হাজির ছিলেন দলের জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ, বিজেপি নেতা বুবাই কর-সহ অন্য নেতারা। হাজির ছিলেন সাংসদ ডা. জয়ন্ত রায়ও।
সাংসদ বলেন, “মুসলিম-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন সব কিছু বুঝতে পারছেন। তাঁরা আমাদের সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছেন।”
এ দিকে সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারত গড়াই আমাদের লক্ষ্য। এতদিন রাজ্যের শাসকদল নিজেদের স্বার্থে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করেছে। এ বার ভুল ভেঙেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি ভালো ফল করবে।” আগামীতে এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলেও আশাবাদী মোর্চার জেলা সভাপতি।
Be First to Comment