অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা: জলপাইগুড়ি: প্রথম রবিবাসরীয় ছুটির দিনে বড় কোনো কর্মসূচি হল না শহরে। সদর ব্লকের একাংশ ও রাজগঞ্জ ব্লকে জন গর্জন কর্মসূচী ও জনসংযোগ করলেন তৃণমূল প্রার্থী অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়। অপরদিকে এদিন বিকেলে এক ভবনে সাংগঠনিক সভা করলো বিজেপি। দিনবাজার ও সংলগ্ন এলাকায় জনসংযোগ করলেন বাম প্রার্থী।
১৯ এপ্রিল জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে নির্বাচন। ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের পরে প্রথম রবিবার ছিল এ দিন। বড় কোনো সভা বা কর্মসূচি করবে কোনো দল, এমনটাই অনুমান ছিল। কিন্তু তেমনটা হল না।
বোদাগঞ্জের ভ্রামরী দেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে এ দিন কাজে নেমে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। ডেঙ্গুয়াঝাড়, পাতকাটা, শিকারপুর, টাকিমারির চর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় থাকা দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচিত হলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, ডিপিএসসি-র চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায়,রাজগঞ্জের ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বাণী ধাড়া-সহ অন্য নেতা-নেত্রীরা।
এদিন তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “কেউ চোর বললে, তাকে মহাচোর বলুন। দেখবেন পালিয়ে যাবে।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমি জিতলে জলপাইগুড়ির সমস্যার কথা বলব সংসদে। সমস্যাগুলোর সমাধান করব। মানুষের সমস্যায় পাশে থাকব।”
তৃণমূল প্রার্থীর ‘ভোকাল টনিকে’ তৃণমূলের নীচতলার নেতা কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন বলে দাবি। এদিকে আমবাড়িতে প্রচারে এসে গানও করেন তিনি। বেলাকোবা বাজারে পদযাত্রার পরে জনৈক তৃণমূল কর্মী দীনবন্ধু দাস বলেন, ” ওনার কথায় আমরা বল পেলাম। উনি সহজ সরলভাবেই সকলের সাথে মিশে গেলেন।” রাজগঞ্জের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা ডিপিএসসি-র চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায় বলেন,” এ রকম প্রার্থী পেয়ে সকলেই খুশি। নির্মলবাবুকে জেতাতে সকলেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন। তিনি যেভাবে জনসংযোগ করলেন তাতে ওনার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।”
অন্য দিকে, এদিন পথচলতি মানুষজনের সাথে কথা বললেন বাম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ। সিপিএমের দাবি, জনগণের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছেন প্রার্থী।
এ দিন বিকেলে শহরের পান্ডাপাড়ায় সাংগঠনিক সভা করল বিজেপি-ও। দলের মুখপাত্র শ্যাম প্রসাদ বলেন,” বিজেপিতে ব্যক্তিপুজোর চল নেই। সংগঠনই শেষ কথা। যিনি প্রার্থী হবেন তাঁর জন্য সবাই ঝাঁপাবে। জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, প্রচারের রূপরেখা স্থির করতে বৈঠক হল। প্রচারে হেভিওয়েট নেতারাও আসবেন।
Be First to Comment