উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : তীব্র তাপবাহার হাত থেকে আপাত মুক্তির প্রকাশ, বাংলার আকাশে বৃষ্টি। তীব্র গরম থেকে শেষ মিলল স্বস্তি। এই সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন বাগানে আমাদের লিচুর ফলন হয়েছে। প্রশাসনের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের রাজ্যের উর্ফতানি হয় লিচু।
জয়নগর ও বারুইপুর এলাকার কৃষকদের মতে এই তীব্র তাপপ্রবাহ কার্যত শেষ করে দিচ্ছিল লিচুর ফলন।এখন লিচুর ফলন তৈরি হয়ে গেছে।এখন লিচু পাড়ার সময়।আর এই বৃষ্টিতে লিচু মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

শুধুমাত্র লিচু নয় সমানভাবে আমেরও চাষ দেখা যায় এই জেলাতে। লিচুর সঙ্গে পরিমাণে আমও চাষ হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকা যেমন জয়নগর কুলতলি বারুইপুর এই সমস্ত গ্রামীণ এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে লিচু ও আমের ফলন দেখা যায়। কৃষকরা জানান, এ বছর এই তীব্র গরমের জন্য আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল। আমরা গরম থেকে ফলন বাঁচাতে গাছের জলে স্প্রে করছিলাম। তবে এই যে বৃষ্টি হল এতে আম ও লিচু একটু হলেও মিষ্টি এবং বাঁচার সম্ভাবনা রয়ে গেল।
তবে এ বিষয়ে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের শস্য সুরক্ষা বিদ তথা কৃষি বিশেষজ্ঞ ড: প্রবীর গরাই বলেন,তীব্র তাপদহের পরে এই বৃষ্টিতে আম ও লিচুর ফলনে উপকার হলো বলে আমার মনে হয় তবে এই সময়ে আমের বোটা সহ আম পাড়তে হবে। পাড়ার পর আম উল্টো করে কিছুক্ষণ রাখতে হবে এতে আমের আটা ঝরে যাবে।আমের গায়ে কোনো দাগ লাগবে না।তবে আম কার্বাইড দিয়ে পাকানো উচিত নয়। প্রয়োজনে মাত্রা বুঝে ইথিলিন গ্যাস স্প্রে করে আম পাকানো যেতে পারে।তবে এই সময় লিচুর জলসোনা রোগ রুখতে লিচুর বাগানে বিভিন্ন দিকে নাইলনের নেট ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। এতে গরম হাওয়া থেকে ঠেকানো যাবে ফলনকে।তবে আম ও লিচু পাড়ার দু সপ্তাহ আগে কার্বোন্ডাজিম ও ম্যানকোজেবের মিশ্রণ একসাথে মিশিয়ে নিয়ে গাছে স্প্রে করলে ছত্রাক জনিত রোগ থেকে বাঁচানো যেতে পারে ফলনকে।



Be First to Comment