Press "Enter" to skip to content

জয়নগর ও কুলতলিতে ১৪টি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়লেও হতাহতের কোনো খবর নেই

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : ঘূর্ণিঝড় দানার প্রকোপে হওয়া প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় সুন্দরবনের জয়নগর ও কুলতলিতে বেশ কিছু মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর নেই।

শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ-সহ একাধিক সরকারি আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবারের ঝোড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিতে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে।গাছপালা ভেঙে পড়া ছাড়া বড় কোনো দুর্ঘটনার খবর নেই।

জয়নগর ও কুলতলি বিডিও অফিস সূত্রে জানা গেল, জয়নগর-১ ব্লকে কোনো মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েনি অথচ জয়নগর- ২ ব্লকের বাইশাহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়, মণিরতট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়, নলগড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ও চুপড়িঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১২টি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং কুলতলির জালাবেড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েত ও মেরিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২টি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে।

তবে এতে হতাহতের কোনো খবর নেই। জয়নগর-১ ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল বলেন, জয়নগর-১ ব্লকে মাটির ঘর ভেঙে পড়ার কোনো খবর নেই তবে চালতাবেড়িয়া এলাকায় বিশাল একটি বটগাছ রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত। তারপরে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টিম হাত লাগিয়ে গাছটি কেটে অবস্থা যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করে।

জয়নগর-২ বিডিও মনোজিৎ বসু বলেন, জয়নগর-২ ব্লকের আপাতত ১২টি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও এলাকায় পরিদর্শনে আছেন বিভিন্ন আধিকারিকরা।

কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য বলেন, এই ব্লকে মাত্র দুটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তা ছাড়া কিছু গাছ পড়ে গেছে তবে কোনো ক্ষেত্রেই হতাহতের কোনো খবর নেই আর সমস্ত কিছুর ওপরেই আমাদের নজর রাখা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে কুলতলির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন কুলতলির বিডিও সূচন্দন বৈদ্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপা সরদার সহ বিডিওর একাধিক আধিকারিকরা। শুক্রবার সকালেও তাঁরা এলাকা ঘুরে দেখেন। এদিন ২ নম্বর বিডিও মনোজিত বসু মনিরতট, বাইশহাটা, নলগড়া,চুপড়িঝাড়া সহ একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁর আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *