আসানসোল : আরজি করে মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় এবার সরব হল চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন আইএমএ বা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
এই ঘটনার পরে আইএমএ বাংলার বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। সোমবার সকালে আইএমএ-র আসানসোল শাখার তরফে প্রথম স্মারক লিপি দেওয়া হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডা. ইউনুস খানকে।
পরে স্মারক লিপি দেওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাসকে। দুই জায়গায় ছিলেন আইএমএর আসানসোল শাখার চীফ পেট্রোন ডাঃ পিসি মাজি, সভাপতি ডাঃ এ কে পান, সম্পাদক ডাঃ রহুল আমিন সহ অন্য চিকিৎসকেরা। আইএমএর পদাধিকারীরা এদিন স্মারক লিপি দেওয়ার সময় সিএমওএইচ ও জেলা হাসপাতালের সুপারকে কালো ব্যাজ পড়িয়ে দেন।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধানকে দেওয়া আইএমএর স্মারকলিপিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার স্বার্থে মোট চারটি দাবি করা হয়েছে। সেগুলো হলো, হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা রক্ষী ও পুলিশের ব্যবস্থা করতে হবে। মহিলা চিকিৎসকদের জন্য আলাদা শৌচালয় সহ রেষ্ট রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালের প্রতি ফ্লোর-এ শৌচালয় করতে হবে। নাইট শিফটে ডিউটি করার সময় মহিলা চিকিৎসকদের হাসপাতালের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবার সময় তাদের সঙ্গে একজনকে দিতে হবে। যাতে তাদের নিরাপত্তা ঠিক থাকে।
এই প্রসঙ্গে আইএমএর আসানসোল শাখার চীফ প্যাট্রোন ডাঃ পিসি মাজি বলেন, রবিবারের বৈঠকে আলোচনা করে এদিন সিএমওএইচ এবং জেলা হাসপাতালের সুপারকে স্মারক দেওয়া হয়েছে। মোট চারটি দাবি করা হয়েছে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিন চিকিৎসকেরা কালো ব্যাজ পড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে মোমবাতি নিয়ে মৌন মিছিল করা হবে। সবাইকে এই মিছিলে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইএমএর দাবিগুলো নিয়ে সিএমওএইচ এবং হাসপাতাল সুপার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, সবকিছু নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




Be First to Comment