উত্তেজনা ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার বাঁশরা কোলিয়ারির মসজিদপাড়ায়। প্রতীকী ছবি
সংবাদদাতা, রানিগঞ্জ: ইসিএলের খনি আবাসন দখলমুক্ত করতে গিয়ে শনিবার সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আসানসোলের রানিগঞ্জের ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার বাঁশরা কোলিয়ারির মসজিদপাড়ায়। ঘটনাস্থলে ইসিএলের নিরাপত্তা রক্ষী, সিআইএসএফের সঙ্গে রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছে সামাল দেয় গোটা পরিস্থিতি।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার বাঁশরা কোলিয়ারির মসজিদপাড়া, ভাগলপুর সেন্টার আবাসন এলাকা নামে পরিচিত। সেই এলাকায় বাঁশরা কোলিয়ারির মাইনিং সর্দার সাগর রাঠোর খনি আবাসনে বসবাস করতে এসেই ঘটল বিপত্তি। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস ধরে এই খনি আবাসনটি তাঁকে রেস্ট রুম হিসেবে ব্যবহার করতে দিয়েছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে কোলিয়ারিতে কাজে গিয়েছিলেন ওই মাইনিং সর্দার।
শনিবার সকালে তিনি কাজ শেষে আবাসনে ফিরে এসে দেখেন, পাশেই বাস করা এক পরিবার তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে, সেই আবাসনে ঢুকে পড়েছে। সাগর রাঠোরের দাবি, তিনি বারবার সেই আবাসনের দরজার কড়া নেড়ে তাদেরকে ডাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভিতর থেকে কোন সদুত্তর মেলে না। তিনি বুঝতে পারেন যে, আবাসনের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করা হয়েছে।
গোটা বিষয়টি দেখার পর, তিনি খনি কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এর পর খনি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ইসিএলের নিরাপত্তা রক্ষী, সিআইএসএফ ও রানিগঞ্জ থানার পুলিশের আধিকারিকদের খবর দেন। তাদের সঙ্গে নিয়েই ইসিএল কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় গিয়ে আবাসন দখল মুক্ত করতে উদ্যোগ নেন।
শনিবার সকাল থেকেই এই ঘটনাকে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় খনি আবাসন এলাকায়। বড় কোনো ঘটনা ঘটার আগেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা।
এ দিকে, ওই আবাসনটিতে বাস করা এক মহিলার দাবি, তাঁকে অনুমতি দেওয়ার পরই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
যদিও, গোটা বিষয়টিকে নিয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ রীতিমতো ধন্ধে রয়েছেন। শনিবার দুপুরের পরে গোটা বিষয় নিয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে
উল্লেখ্য, আসানসোল রানিগঞ্জ খনি এলাকায় ইসিএলের আবাসনের জবর দখলের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও অনেক জায়গায় আবাসন দখলের অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়েরও করেছেন পুলিশের কাছে। এ বার রানিগঞ্জের এই আবাসন দখল নিয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন খনি কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ, সেটাই এখন দেখার।
Be First to Comment