অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা: আসানসোলের কালিপাহাড়ির অদূরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এক রোগীর ভুল চিকিৎসা করা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
আসানসোলের রেলপারের ধাদকার বাসিন্দা সাধন পাল নামে নামে এক রোগী গত জানুয়ারি মাসের শেষে ওই বেসরকারি হাসপাতালে পাইলস অপারেশনের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন।
অভিযোগ, সঠিক চিকিৎসার অভাব বা ভুল চিকিৎসার জন্য তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। বর্তমানে হাসপাতালের গাফিলতিতে ওই রোগীর অবস্থা সংকটজনক। প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেল পরিবার সূত্রে।

রোগীর পরিবার অভিযোগ করেছে যে, আসানসোলের ওই বেসরকারি হাসপাতালের অবহেলার কারণে সাধন পাল চিকিৎসার সময় দু’বার ব্রেন স্ট্রোক আক্রান্ত হয়েছেন। যা তাঁরা জানতেন না। পরে অন্য এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে পরীক্ষার পর জানানো হয় যে তিনি ইতিমধ্যেই দু’বার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন।
এরপরই রোগীর স্ত্রী বন্দনা পাল পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচকে চিঠি লিখে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্ত্রী বন্দনা পালের মতো সাধন পালের মেয়ে পূজা পালও হাসপাতালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। সাধন পালের মেয়ে পূজা পালের অভিযোগ, “বাবা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। ওই হাসপাতালের ভুল চিকিৎসাতেই আমাদের পরিবারে বিপর্যয় নেমে এসেছে”।
তিনি বলেছেন, “আমার বাবা চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে বাবার দু’বার ব্রেন স্ট্রোক হয়। অন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই জানতে পারি বাবার অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে”।
এমন অবস্থায় রোগীর পরিবারের দাবি, এই হাসপাতাল রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার খরচ বহন করুক। পাশাপাশি এই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল হোক। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোনো রোগীর সঙ্গে এমন না ঘটে। পাশাপাশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার ও জামুড়িয়ার থানার ওসির কাছে।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই রোগীর পরিবারের সদস্যরা আসানসোলের ওই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।




Be First to Comment