উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: এবার পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ।রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মহিলা।
ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মসজিদ মোড় এলাকার।অভিযুক্ত স্বামী সঞ্জয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।এদিকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাকলি দেবী।সূত্রের খবর, ২২ বছর আগে মসজিদ মোড় এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় মল্লিকের সঙ্গে প্রতিবেশী কাকলি মল্লিকের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে অভিযোগ, বিগত তিন বছর ধরে অন্য এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রী ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে সন্দেহ করতেন অভিযুক্ত সঞ্জয়।
এই বিষয় নিয়ে তাঁদের দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির উঠোনে পুজো দিচ্ছিলেন কাকলি দেবী। সেই সময় পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কাকলিকে আচমকাই সজোরে আঘাত করেন অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, গলা, বুক, হাতও পা মিলিয়ে তিন থেকে চার জায়গায় একের পর এক কোপ বসান অভিযুক্ত। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাকলি। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্ত সঞ্জয়কে আটকে রেখে খবর দেন বারুইপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।

পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে বারুইপুর থানার পুলিশ।এদিকে গৃহবধূ কাকলি মল্লিকের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।
এ বিষয়ে কাকলি মল্লিকের মা বৃহস্পতি রায় বলেন, “আমার মেয়ে নিরীহ। ওঁকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল ওঁর স্বামী। দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার করতো। আমরা অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু লাভ হয়নি। আজ আমার মেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।আমি এর সঠিক বিচার চাই”।
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।



Be First to Comment