বার্নপুর : একটি মোটরবাইক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে আসানসোল জেলে থাকা এক দূষ্কৃতিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল হিরাপুর থানার পুলিশ।
বার্নপুরের ওয়াগন কলোনিতে একটি পরিত্যক্ত আবাসনে লুকিয়ে রাখা গত জানুয়ারি মাসে চুরি যাওয়া মোটরবাইক সহ উদ্ধার হয়েছে আরো চারটি চোরাই মোটরবাইক ও স্কুটার। সোমবার সকালে হিরাপুর থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানান আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি ( হিরাপুর) ঈপ্সিতা দত্ত।
সাংবাদিক বৈঠকে হিরাপুর থানার ওসি তন্ময় রায় সহ এই ঘটনার তদন্তে থাকা অন্য পুলিশ অফিসাররা ছিলেন।
এসিপি (হিরাপুর) বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি আসানসোল দক্ষিণ থানার বুধা গ্রামের বাসিন্দা কল্যান দাঁ হিরাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তাতে ওই ব্যক্তি জানান, গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হিরাপুর থানার আসানসোলের এসবি গড়াই রোডের পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন লোকনাথ মন্দিরের পেছনে বেনিমাধব নগর এলাকা থেকে তার মোটরবাইক চুরি হয়ে গেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হিরাপুর থানায় একটি মামলা ( কেস নং – ১৭/২০২৫, তারিখ ১৬.০১.২০১৫ / ইউ/এস -৩০৩ (২) বিএনএস) হয়।
এরপর হিরাপুর থানার ওসি তন্ময় রায়ের নির্দেশ অনুসারে এসআই রাজেশ ভট্টাচার্য, এসআই অঞ্জন মন্ডল ও এসআই শুভাশীষ বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এএসআই অতনু নাগ ও এএসআই তাপস ঘোষ ( তদন্তকারী অফিসার বা আইও) একটি টিমকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। সেই তদন্তে তারা একটি সূত্র মারফত জানতে পারেন, আসানসোল দক্ষিণ থানার মহিশীলা গ্রামের বাসিন্দা শুভ্রশীল ঘোষ ওরফে অমিত আসানসোল উত্তর থানার একটি চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পরে আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে আছে। ধৃত যুবক মোটরবাইক চোরাই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। সে এই চুরির ব্যাপারে কোন ক্লু বা তথ্য দিতে পারে।
এসিপি (হিরাপুর) আরো বলেন, এরপর হিরাপুর থানার ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার ও অন্যান্যরা জেলে গিয়ে শুভ্রশীল ঘোষকে প্রাথমিক জেরা করে। তারপর তাকে “শোন অ্যারেস্ট” দেখিয়ে আসানসোল আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাকে হেফাজতে নিয়ে নতুন করে জেরা করে জানুয়ারি মাসে চুরি যাওয়া মোটরবাইক সম্পর্কে সে তথ্য দেয়। সেই মতো হিরাপুর থানার বার্নপুরের ওয়াগন কলোনির একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে ওই মোটরবাইক সহ মোট পাঁচটি চোরাই মোটরবাইক ও স্কুটার রবিবার উদ্ধার করে তদন্তকারী দল। হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়া সোমবার ওই যুবককে আসানসোল আদালতে পেশ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, উদ্ধার হওয়া বাকি চারটি মোটরবাইক ও স্কুটারের নম্বর ধরে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, কবে কোথা থেকে এগুলো চুরি করা হয়েছিল। প্রয়োজন মনে হলে, এই মামলার তদন্তে ওই যুবককে আবারও হেফাজতে নেওয়া হবে।




Be First to Comment