অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা : দুর্গাপুরে আবারও গাঁজা পাচার আটকাল পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চার চাকা গাড়ি সহ ৭৫ কেজি গাঁজা। গ্রেফতার করা হয়েছে চার মাদক পাচারকারীকে।
তাদের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ধৃতদেরকে আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতরা দুর্গাপুরের রামকৃষ্ণপল্লীর ভরত কুমার জয়সওয়াল মুর্শিদাবাদের রানিনগরের আনারুল ইসলাম, দিলদার মন্ডল ও আব্দুল খালেক শেখ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একটি সাদা রংয়ের চার চাকার গাড়ি দুর্গাপুরে কোকওভেন থানা এলাকা গ্যামন ব্রিজের দিক থেকে রাতুরিয়া অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের দিকে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ ওই রাস্তার মাঝেই নাকা চেকিং শুরু করে। আটকানো হয় সাদা রঙের সেই গাড়িটি। গাড়ির ভেতর তখন চালক সহ চারজন ছিল।
সেই গাড়িতে তল্লাশি করার সময় ডিকি খুলে পুলিশ দেখতে পান তিনটি ট্রলি ব্যাগ ও তিনটি কালো রঙের ব্যাগ রয়েছে। সেগুলি খুলতেই পুলিশ কর্মীদের চোখ কপালে উঠে। সেই ব্যাগগুলির ভেতরে ছিল বিপুল পরিমাণ গাঁজা। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৭৫ কেজি গাঁজা। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
জানা গেছে, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের তিনজন উড়িষ্যার বারপল্লী থেকে ট্রেনে চেপে ধানবাদ হয়ে দুর্গাপুর স্টেশনে এসেছিল। তারপর সেখান থেকে বেনাচিতির রামকৃষ্ণপল্লীর ভরত কুমার জয়সওয়াল চার চাকার গাড়ি নিয়ে আসে। পরে সেই গাঁজা চার চাকার গাড়িতে করে চারজন মিলেই রাতুড়িয়া অঙ্গদপুরের রাস্তা ধরে ওয়ারিয়ার দিকে যাচ্ছিল। সেখানেই এই গাঁজা পাচারের কথা ছিল। তার আগেই তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।
ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করার জন্য নিয়ে যায় কোক ওভেন থানার পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ধৃতদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হবে, তাদের সঙ্গে কে বা কারা আছে।
উল্লেখ্য, কোকওভেন থানা এলাকায় দুর্গাপুরে বাসস্ট্যান্ড এবং সিনেমা রোডে দুইজন বড় গাঁজা কারবারি আছে, তারা এই পাচার চক্রের সাথে যুক্ত কিনা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে । পাশাপাশি শ্যামপুর মানার একজন বড় গাঁজা কারবারি এই পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে ।
Be First to Comment