Press "Enter" to skip to content

চিকিৎসা পরিসেবা ও ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় স্তরের তিনটি প্রকল্পে সেরার শিরোপা, আসানসোল জেলা হাসপাতালে কর্মী ও বিভিন্ন দফতরকে সংবর্ধনা

আসানসোল: চিকিৎসা পরিসেবা দেওয়া ও ব্যবস্থাপনায় ( কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বা গুণগত মান) সার্বিক বিচারে কেন্দ্রীয় স্তরের তিনটি প্রকল্পে আসানসোল জেলা ও মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সেরার শিরোপা পেয়েছে।

যারা এই শিরোপা ছিনিয়ে নিতে কাজ করেছেন তাদেরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই উপলক্ষে শনিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগের উপরের হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর উদ্যোক্তা স্বাস্থ্য দফতর ও আসানসোল জেলা হাসপাতাল। জানা গেছে, এই তিনটি ক্ষেত্রে আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূচক হিসেবে ৯৩, ৯২ ও ৮৮ পেয়েছে।

সম্প্রতি আসানসোল জেলা হাসপাতালকে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা ” এনকোয়াস, লক্ষ্য ও মুসকান ” নামে তিনটি প্রকল্পে শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে । এই সার্টিফিকেট কেন্দ্রীয় স্তর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য দেওয়া হয়। এই শংসাপত্রটি আসানসোল জেলা এবং মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা মৌলিক সুবিধা সহ বিভিন্ন দিক মাথায় রেখে দেওয়া হয়।

এদিন জেলা হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিভাগ, আসানসোল দক্ষিণ থানা, পিডব্লিউডি বা পূর্ত দফতরের সিভিল ও ইলেকট্রিক সহ ২৩টি বিভাগের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মচারীদেরও সম্মান জানানো হয়।

এই প্রসঙ্গে ডা. নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, আসানসোল জেলা হাসপাতালের এই কৃতিত্ব শুধু আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের নয়, এতে হাসপাতালের স্থায়ী ও অস্থায়ী সমস্ত কর্মীদের অবদান রয়েছে। এ কারণেই এদিন তাদের সম্মানিত করা হল। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, এই শিরোপা অর্জনে বিদ্যুৎ বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন সহ অন্যান্য দফতরেরও সমান অংশগ্রহণ রয়েছে। তারজন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

অন্যদিকে, এই অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস বলেন, আসানসোল জেলা হাসপাতালের তিনটি ক্ষেত্রে শিরোপা পাওয়া অবশ্যই একটি বড় প্রাপ্তি। এই আসানসোল জেলা হাসপাতালে যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে তা প্রশংসনীয়। পাশাপাশি হাসপাতালের মৌলিক সুযোগ-সুবিধাও উন্নত হয়েছে বলে জানান তিনি। এজন্য হাসপাতালের সুপার ডা. নিখিলচন্দ্র দাস, ডেপুটি সুপার, অ্যাসিসটেন্ট সুপার চিকিৎসক, নার্স সহ স্থায়ী ও অস্থায়ী সকল কর্মচারীদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেছিলেন যে এখন আসানসোল জেলা হাসপাতালেও আইপিএইচসি শংসাপত্রের জন্য চেষ্টা করতে হবে।

ডা. নিখিলচন্দ্র দাস এবং ডা. ইউনুস বলেন, এই সার্টিফিকেট তিন বছরের জন্য পাওয়া গেছে। তাই আসানসোল জেলা হাসপাতালের সাথে যুক্ত প্রত্যেককে এই মান বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা করতে হবে। তবেই এই সার্টিফিকেটের সঠিক মূল্যায়ন হবে।

এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়, চিকিৎসক ডা. সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, সহকারী সুপার সৃজিত মিত্র, ভাস্কর হাজরা, কোয়ালিটি কনসালটেন্ট সুরভী বন্দোপাধ্যায়।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *