উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে জমিতে পাতা বিদ্যুতের তারেই প্রাণ গেল এক কৃষকের। রবিবার পূর্ব গাবতলায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাসুদেব নস্কর নামে এক কৃষকের। কে বা কারা ওই জমিতে বিদ্যুতের তার পেতে রেখেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ধান চাষের মরসুমে ইঁদুরের উৎপাত ঠেকাতে অনেক কৃষক জমিতে বিদ্যুতের তার বিছিয়ে দেন, যা আইনত নিষিদ্ধ। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অসীম হালদার জানিয়েছেন, “আমরা বারবার মাইকিং করে সতর্ক করেছি, কিন্তু অনেকেই শোনেন না। এবার থেকে প্রশাসনের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রবিবার সকালে গ্রামের বাসিন্দারা চাষের জমিতে সবজি তুলতে গিয়ে বাসুদেব নস্করকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে জয়নগর কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃতের ছেলে প্রশান্ত নস্কর জানান, তাঁর বাবা সম্ভবত পা পিছলে বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে যান, যার ফলে মর্মান্তিক এই পরিণতি।
মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের দাবি, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে কুলতলি ও জয়নগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি আলতাফ আহমেদ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের ২.৭.২০২১ সালের সার্কুলার অনুযায়ী, যদি কেউ দুর্যোগজনিত কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান, তবে তাঁর পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
তিনি বলেন, “প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সরকার যেন মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় এবং সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে।”




Be First to Comment