Press "Enter" to skip to content

রানিগঞ্জে ইসিএলের ওসিপি-তে বিস্ফোরণ! পাথর উড়ে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি, প্রতিবাদে ভাঙচুর এলাকায়

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, রানিগঞ্জ : ওসিপি (খোলামুখ খনি)-তে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আতঙ্ক! ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার রানিগঞ্জ থানার নারায়ণকুড়ি ওসিপি-তে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। আর সেই বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে উঠে নারায়নকুড়ি মাঝপাড়ার বাড়ি ঘর। এই বিস্ফোরণে পাঁচ-ছ’টি বাড়িতে এসে পড়ে বড় বড় পাথরের চাঙড়। এইসব পাথরের চাঙড় খোলামুখ খনিতে বিস্ফোরণে উড়ে আসে। এই ঘটনায় বেশ কিছু ঘরবাড়ির পাশাপাশি ক্লাবঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই আতঙ্কিত ঘটনার পরই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

এলাকার বাসিন্দা গ্রামবাসীরা এরপর ইসিএলের ওই খোলামুখ খনির কার্যালয়ে হামলা চালান। কার্যালয়ে ব্যাপক পরিমাণে ভাঙচুর করা হয়। একইসঙ্গে ওই এলাকায় থাকা ইসিএলের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।

এই ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় এসে পৌঁছায় ইসিএলের নিরাপত্তা রক্ষী ও সিআইএসএফ। পাশাপাশি খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসে রানিগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীও।

তাতেও এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভকে সামাল দেওয়া যায়নি । তারা ওসিপি চত্বরে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি দাবি করেন, এ ভাবে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে তারা কোনমতেই এই ওসিপি চালাতে দেবে না। গ্রামবাসীদের ভয়ঙ্কর ক্ষোভ আন্দাজ করতে পেরে ইসিএলের খনি আধিকারিকেরা ওসিপি থেকে চম্পট দেন।

গ্রামবাসীদের দাবি, ওসিপি-তে বিস্ফোরণের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েক দফায় বিস্ফোরণ ঘটার পর তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। প্রতিবারই ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয় ইসিএলের পক্ষ থেকে । কিন্তু তারপর ইসিএল কর্তপক্ষ দায়সারা মনোভাব দেখান।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, যে ভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকের বাড়িতে বড় বড় পাথরের চাঙড় আছড়ে পড়ছে। সেইসব পাথর মানুষদের গায়ে লাগলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারত। এমন পরিস্থিতি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না গ্রামবাসীরা ।

ইসিএল কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে এভাবে বিস্ফোরণ না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই তারা কয়লা খনির উৎপাদন চালু করতে দেবে। নচেৎ কোনো ভাবেই এখানে কয়লা খনির উৎপাদন চালু করতে দেবে না গ্রামবাসীরা । এ দিনের এই বিস্ফোরণের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অভিযোগ এবং সামগ্রিক ঘটনা নিয়ে ইসিএল আধিকারিকদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তবে ইসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কয়লা তুলতে ওসিপি-তে ব্লাস্টিং বা বিস্ফোরণ করা হয়। এ দিকে এই ঘটনার পরে সমগ্র এলাকা থমথমে হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় কয়লা খনির উৎপাদনের কাজ।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *