দলছুট হাতি ভাঙচুর করে ফেলেছে দুটি বাড়ি। নিজস্ব ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: আবারও হাতির হানা লোকালয়ে। ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে। হাতির তাণ্ডবে তছনছ দু’টি বাড়ি। আহত একাধিক।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কুঁয়োরদা গ্রামে ঢুকে পড়ে একটি দলছুট দাঁতাল। গ্রামের স্বাধীন সিটের পরিবারে যথারীতি তাণ্ডব চালাচ্ছে এই দাঁতালটি। ভাঙচুর করে ফেলেছে দুটি বাড়ি। ঘরের প্রতিবন্ধী সদস্যদের নিয়ে প্রাণে বাঁচতে তিনি প্রতিবেশীদের ফোন করেন। প্রতিবেশীরা এই পরিবারটিকে উদ্ধার করতে এলে দাঁতালটি তাদের তাড়া করে। ঘটনায় চার জন কম বেশি আহত হন।
অভিযোগ,প্রতিবেশীরা সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারকে ফোন করলে ফোনে অস্বাভাবিক অবস্থায় তিনি উত্তর দেন যেন দাঁতালটিকে বেঁধে রেখে পরিবারকে উদ্ধার করা হয়। এই হেন নিদানে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বাধীন সিটের পরিবারের লোকজন।
তাহলে গ্রামে হাতি ঢুকলে গ্রামবাসীরা কাকে জানাবেন? কার কাছে সুরাহা চাইবেন? এখন সেই প্রশ্নই বড় হয়ে সামনে এসেছে।
প্রসঙ্গত ঝাড়গ্রাম এলাকায় বিগত কয়েক বছর ধরে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। মানুষের মৃত্যু, ঘর ভাঙচুর, ফসলহানি এগুলো জলভাত হয়ে গিয়েছে জঙ্গলমহলের প্রাণকেন্দ্র ঝাড়গ্রাম এলাকায়। হাতির এই তাণ্ডব থেকে নিস্তার পেতে সাধারণ মানুষের উপায় বা কী?
বিভিন্ন ডিভিশন এলাকা থেকে বন বিভাগের আধিকারিকরা হাতিদের অন্যত্র সরিয়ে অন্য এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে। আবার ঘুরে ফিরে হাতি তাড়া খেয়ে পুনরায় ঝাড়গ্রাম এলাকায় ফিরে আসছে। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ বারবার প্রশ্ন তুলছেন, যেখানে কয়েক হাজার কোটি টাকার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না, সেই ময়ূরঝর্ণা এলিফ্যান্ট রিজার্ভ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঝাড়গ্রামবাসীর ভোগান্তির চির অবসান ঘটতো। কিন্তু তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বন আধিকারি থেকে শুরু করে প্রশাসনের অধিকর্তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমেও এই বিষয় নিয়ে খুব একটা বিশ্লেষণ করছে না। অবশ্য এ দিনের সাঁকরাইল এই ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন খড়্গপুরের ডিএফও মনীশ যাদব।
আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে হাতির হানা লেগেই রয়েছে, কী অবস্থায় ময়ূরঝর্ণা এলিফ্যান্ট রিজার্ভ?
Be First to Comment