উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : গরমের শুরুতেই পানীয় জলের সংকট সুন্দরবনের কুলতলিতে। নেমে গেছে জলস্তর, কুলতলিতে জল কিনে খাওয়াতে হচ্ছে পড়ুয়াদের,সমাধানের দ্রুত আশ্বাস কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির।
গরমের শুরুতেই জল স্তর নেমে গিয়েছে সুন্দরবনের বহু গ্রামে। ফলে এলাকার অনেক জায়গাতেই নলকূপ বা সাবমার্সিবল পাম্পে জল উঠছে না। এমনই পরিস্থিতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের কুলতলির বিস্তীর্ণ এলাকায়। পানীয় জল মিলছে না কুলতলির জামতলা ভগবানচন্দ্র হাই স্কুলেও। ফলে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা।
পড়ুয়াদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে বাধ্য হয়ে টাকা খরচ করে জারবন্দি জল কিনতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।কুলতলির প্রাচীন এই স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা তিন হাজারের ওপর। জানা গেল, স্কুলে দু’টি সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে। তা দিয়েই পড়ুয়াদের পানীয় জলের চাহিদা মেটানো হতো। কিন্তু গরম পড়তেই মাটির তলায় জলস্তর আরও নীচে নেমে গিয়েছে। ফলে সাবমার্সিবল পাম্পে জল উঠছে না। গত কয়েক দিন ধরে চলছে এই সমস্যা।
প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পড়ুয়াদের খাওয়ার জন্য জারবন্দি জল কেনেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ৩৫টি কুড়ি লিটারের বড় জার কেনা হয়েছে গত সপ্তাহে বলে স্কুল সূত্রে খবর। সেখান থেকেই জল খাচ্ছে পড়ুয়ারা।
এ ব্যাপারে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল বলেন, স্কুলে একাধিক সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে। কিন্তু গত ক’দিন ধরেই কোনো পাম্পেই ঠিকমতো জল উঠছে না। প্রশাসনকে আমাদের তরফ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে জল কিনতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। রোজ গড়ে হাজার দু’য়েক পড়ুয়া উপস্থিত থাকে।জল না থাকলে, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যায়। সামগ্রিক ভাবে এলাকার জলস্তর নেমে গিয়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এর সমাধান করা।
তবে এ ব্যাপারে কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা সরদার বলেন, বিভিন্ন জায়গায় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।তবে ওই স্কুল-সহ অন্যান্য স্কুলের জলের সমস্যা মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে দ্রুত সমাধান করা যায় স্কুলগুলোতে সেদিকে দেখা হচ্ছে।
Be First to Comment