Press "Enter" to skip to content

পানীয় জলের জন্য এখনও কুয়োর দিকে তাকিয়ে হুড়া ব্লকের জবরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলাবহাল শবর পাড়া

প্রবোধ দাস, পুরুলিয়া: ভোট আসে ভোট যায়, প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে ভোট নিয়ে আর ফিরেও তাকান না অনেকে। এমন একাধিক অভিযোগ শোনা গেল কাশীপুর বিধানসভার হুড়া ব্লকের জবরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলাবহাল শবর পাড়াতে।

দীর্ঘ ৭৭ বছর স্বাধীনতার পরও আজও এই গ্রামের মানুষকে কুয়োর জল পান করতে হয়। পানীয় জলের হাহাকার। মেলেনি পানীয় জলটুকুও। আজ নির্বাচনী প্রচারে এসে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে এলাকার মানুষরা তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা বলতে শোনা গেল। তাঁরা প্রার্থীকে এইটুকুই বললেন, “আমরা খাবার পানীয় জলটুকু পাই না। কুয়ার জল এখনো খেতে হয় আমাদের। যার ফলে নানা রকম রোগে আক্রান্ত আমাদের শিশু থেকে শুরু করে সকলেই । এছাড়াও আবাস যোজনার কোন বাড়ি পাইনি এখানকার মানুষ।”

অভিযোগ, এক কথায় কোনরকম উন্নয়ন হয়নি এখানে। সেখানকার মহিলাদের কথায়, প্রতি বছর নেতারা আসে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় আর ভোট নেয় তারপর কেউ ফিরে তাকায় না। অপরদিকে জবরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রঞ্জিত কুমার মাহাতো স্বীকার করে নেন এখানকার মানুষদের জল কষ্ট খুবই রয়েছে।। একটিমাত্র নলকূপ থাকায় সেটাতে জল উঠে না। ফলে কুয়োর জলে এদের একমাত্র ভরসা। জেলা পরিষদ থেকে একটি সোলার পদ্ধতিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা করলেও সেখানে আর জল উঠে না। তাই খুব অসুবিধার মধ্যেই রয়েছেন।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “কেন্দ্র জল জীবন মিশন প্রকল্পের ১১ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছে, সেই টাকা গেল কোথায়। তৃণমূলের নেতারা আত্মসাৎ করেছে, তা না হলে এই মানুষগুলি পানীয় জলটুকু পায় না কেন। এছাড়াও এদের বাড়িঘর কেন্দ্র সরকার থেকে আবাস যোজনার যে টাকা দেওয়া হয়েছে তা নেতারা নিজেদের বাড়ি বানিয়েছে। গরিব মানুষের বাড়ি বানায়নি। তাই ২০২৪ লোকসভা ভোটে এদের বিসর্জন হবে। আর এদের বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত কোন মানুষ শান্তি পাবে না। কারণ এলাকার উন্নয়নের টাকা এরা খেয়েছে। তাইতো, এবার নিশ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের বিসর্জন।”

তিনি আশ্বাস দিলেন, “এই ভোটের পরেই এই সব মানুষদের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনে গেলাম এদের দুঃখ আগে ঘোঁচাবার চেষ্টা করব।”

অপরদিকে এখানে তৃণমূল নেতাদের দাবি, জেলা পরিষদ থেকে পানি জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিন্তু এখানে পানীয় জলের সংকট রয়েছে, পানীয় জল পাওয়া যায়নি । গভীর খননের মাধ্যমে যদি এখানে জল পাওয়া যায় তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *