Press "Enter" to skip to content

আরজি করের ঘটনায় গোটা বাংলা সরব, কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদে সামিল আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা

আসানসোল : কর্মরত অবস্থায় আরজি করে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণের পাশাপাশি খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে গোটা বাংলা এখন সরব।

এই ঘটনায় আতঙ্কিত চিকিৎসকেরা প্রতিবাদে সামিল হয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন। সেই প্রতিবাদে সামিল হয়ে একই দাবি তুলে সরব হয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ আসানসোল জেলা হাসপাতালে এমারজেন্সি বিভাগের সামনে কালো ব্যাজ পড়ে প্রতিবাদ জানান চিকিৎসকেরা।

এই প্রসঙ্গে ডা. সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আরজি কর হাসপাতালে যা হয়েছে তা আমরা স্তম্ভিত। ভেবে উঠতে পারছিনা, একজন চিকিৎসক ডিউটি করতে গিয়ে এমন একটা ঘটনার শিকার কিভাবে হল। ভাবতে পারছি না, আমরা কোন সমাজে বাস করছি?”

তিনি আরও বলেন, “সব পেশায় পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদেরকে কাজ করতে হয়। আমরা যারা চিকিৎসক তারা তো রোগীদের সেবা দিয়ে থাকি। আরজি করের ঘটনার পরে আমাদের মহিলা চিকিৎসকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না, কি ভাবে কাজ করবেন। হাসপাতালে তো সব সময় অবাঞ্ছিত লোকেরা ঘুরে বেড়ায়। আমরা দাবি করছি, হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হোক। না হলে, কি করে কাজ করবো? আমরা দাবি করছি, ওই ঘটনায় দোষীদেরকে দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার পাশাপাশি এমন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, যাতে এমন ঘটনা আর কেউ কোনোদিন ঘটাতে না পারে।”

তিনি বলেন, “আসানসোল জেলা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সোমবার আবারও করব । রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে এই ব্যাপারে জানাব। আমাদের নিরাপত্তার দিকটা আগে ঠিক করা হোক।”

অন্যদের মধ্যে সামিল ছিলেন ডা. নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, ডা. ইন্দ্রজিৎ মোহান্তি, ডা. বীরেশ্বর মন্ডল, ডা. রুদ্রনীল লাহিড়ী, ডা. রুপক চট্টোপাধ্যায়, ডা. সমীরণ মাজি, ডা.শিবজী সিং, ডা. কল্পনা মুখোপাধ্যায়, ডা. নীশা আগরওয়াল ও জেলা হাসপাতালের ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়।

প্রসঙ্গত, এই আসানসোল জেলা হাসপাতালে বেশ কয়েক বছর হল চিকিৎসায় ডিএনবি কোর্স পড়ানো হয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই কোর্স পড়তে আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসেন । এই কোর্স পড়তে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলাও আছেন। পিজিডি হিসাবে তারা দিনেরাতে সব সময় ওয়ার্ডে রোগী দেখতে আসেন।

আরজি করের এই ঘটনার পরে, তাঁরা বেশ আতঙ্কিত। তাঁরা নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানা গেছে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *