উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে এক পুলিশ অফিসার নিযুক্ত হয়েছেন। চালু হয়েছে পুলিস কিয়স্ক। কিন্তু সেই কিয়স্ক রয়েছে কোন জায়গায়, তা খুঁজে পেতেই হয়রান হতে হচ্ছে রোগীর পরিবার পরিজনদের। এমনটাই অভিযোগ করেন বেশ কিছু রোগীর পরিবারের সদস্যরা।
এ ছাড়াও হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিউটি করলেও রাতে এখনও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। ফলে রাতে তাঁরা কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।এ ব্যাপারে তাঁরাহাসপাতালের সুপারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ ও করেছেন। নিরাপত্তা দায়িত্বে পুলিশি ব্যবস্থা করতে হবে । সেই মোতাবেক বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে একটি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়।
শনিবার সকালে সেই পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রে খতিয়ে দেখেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস। এই পুলিস কিয়স্কে একজন এসআই সহ তিনজন কনস্টেবল দায়িত্বে আছেন। বোর্ড প্রায় তৈরি। দ্রুত তা টাঙিয়ে দেওয়া হবে।সেই বোর্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের নম্বর সহ থানার নম্বর দেওয়া থাকবে।এই কিয়স্কে ২৪ ঘণ্টাই পুলিস থাকবে। রোগীর পরিবার পরিজন যে কোন ও অভিযোগ করতে পারবেন। বেআইনি পার্কিং দেখলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

যদিও পুলিস কিয়স্কে এখনও পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুম চালু করা যায়নি।এদিকে, হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, রাতে এখনও যথেষ্ট নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি আমরা। পুলিশের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে। অন্যদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসকদের রেস্ট রুমের কাজ এখনও সম্পূর্ণ না হওয়ায় চিকিৎসকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ,পূর্ত দফতরের কাজে দীর্ঘ সময় লাগার জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে।তবে দ্রুত সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে জানালেন বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার।




Be First to Comment