অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা: আসানসোলে নাবালিকা স্কুল পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ঘটনায় ধৃত চিকিৎসক ডাঃ রমন রাজের বৃহস্পতিবার আবারও জামিন নাকচ হল। ৬ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিন ওই চিকিৎসককে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর আবার আদালতে পেশ করার জন্য পকসো কোর্টের বিচারক সুপর্ণা ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন।
এদিন সরকারি আইনজীবী বা পিপি হিসেবে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন মিতা মজুমদার। এই মামলায় ৬ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিন চিকিৎসককে আসানসোল মহিলা থানার পুলিশের তরফে আসানসোল আদালতে পকসো কোর্টে পেশ করা হয়েছিল। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইও স্কুল পড়ুয়ার মেডিকেল রিপোর্ট সহ সিডি বা কেস ডায়েরি জমা দেন বিচারক সুপর্ণা ভট্টাচার্যের কাছে।
তবে পুলিশের তরফে ওই চিকিৎসককে নতুন করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি। চিকিৎসকের জামিন চেয়ে এদিন আদালতে আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী শেখর কুন্ডু। শেষ পর্যন্ত সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক চিকিৎসকের জামিন নাকচ করেন। জানা গেছে, বিচারক তার পর্যবেক্ষণে বলেন, এই মামলার তদন্ত এই মুহূর্তে প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। আরো অনেক তদন্ত বাকি আছে, তাই তাকে জামিন দেওয়া যাবে না।
সরকারি আইনজীবী বা পিপি মিতা মজুমদার বলেন, এদিন ৬ দিনের জেল হেফাজত শেষে চিকিৎসককে পকসো কোর্টে পেশ করা হয়েছিল। এদিন কেস ডায়েরি জমা পড়ে। সবকিছু দেখে বিচারক চিকিৎসকের জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। চিকিৎসককে আগামী ১০ ডিসেম্বর আবার আদালতে পেশ করার নির্দেশ বিচারক দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, স্কুল পড়ুয়ার পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ডাঃ রমন রাজকে গ্রেফতার গত ২১ নভেম্বর আসানসোলের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেদিন বিচারক তার জামিন নাকচ করে ১ দিনের পুলিশ রিমান্ডের দিয়েছিলেন। এরপর আবার তাকে পরের দিন ২২ নভেম্বর আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেদিন বিচারক তার জামিন নাকচ করে ৬ দিনের জেল হেফাজতের দেন। তারপর থেকে চিকিৎসক আসানসোল জেলে ছিলেন।
আসানসোল শহরের একটি নামী স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ওই স্কুল পড়ুয়ার পরিবারের দাবি, গত ১৫ নভেম্বর সে ওই চিকিৎসকের চেম্বারে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল। তখন চিকিৎসক পরীক্ষার নামে তার সঙ্গে যৌন নির্যাতন করে। প্রথমে স্কুল পড়ুয়া কিছু না বললেও, পরে ঘটনার কথা সে পরিবারের সদস্যদের বলে। পুলিশ ধৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিএনএস বা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা করে।
Be First to Comment