উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন : বুধবার সকাল থেকে জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং প্রচার,ফ্লাড সেন্টারে আশ্রয় দেওয়া, ঘন ঘন প্রশাসনিক বৈঠক হয়ে গেল সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে।
বুধবার উত্তর আন্দামান সাগরে থাকা ঘূর্ণা বর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বকখালি ও পুরীর উপকূল থেকে প্রায় ৫৫২ কিমি দূরে রয়েছে। বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টায়। সম্ভাব্য ল্যান্ডফলের জেরে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। এর জেরে বুধবার দুপুর থেকে নদী উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।এখনো পর্যন্ত লাল, হলুদ, কমলা সংকেত রয়েছে।বর্তমানে সর্তকতা রয়েছে।
সকাল থেকে ফ্রেজারগঞ্জ ও ঝড়খালি কোস্টাল থানার ওসি দের নেতৃত্বে ডাঙ্গাপথে প্রচার চলছে।এদিন দুপুরে কাকদ্বীপ মহাকুৃমা শাসকের অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরার উপস্থিতিতে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় গোসাবা,মৈপীঠ, পাথরপ্রতিমা, সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ উপকূল তীরবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।এ দিকে ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে আতঙ্কিত সুন্দরবন বাসী।উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ বুধবার দুপুর থেকে শুরু করে দিয়েছে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট ৭৬ টি ভাঙন কবলিত এলাকাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুন্দরবনের গঙ্গা সাগর থেকে গোসাবা পর্যন্ত নদী বাঁধ গুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করার কাজ চলছে রাজ্যের সেচ দপ্তরের উদ্যোগে। রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বুধবার বলেন, এই দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্ত রকম সরকারি আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।ইতিমধ্যে সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা,গোসাবাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ইতিমধ্যে ত্রাণ শিবির গুলি খুলে রাখা হয়েছে।এদিনই ঘোড়ামারা, পাথরপ্রতিমা সহ নামখানার বেশ কিছু নিচু এলাকা থেকে মানুষ জনদের নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া কাজ চলছে।গঙ্গা সাগর থেকে ঘূর্ণিঝড় দানা বর্তমান অবস্থান করছে ৬২০ কিলোমিটার দূরে।আর সমস্ত কিছুর ওপর নজরদারি আছে।
যে কোনো কিছুর মোকাবিলায় তৈরি জেলা প্রশাসন।রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বংকিম চন্দ্র হাজরা নিজে সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপের দূর্গম এলাকা পরিদর্শন করছেন।প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলছেন ও সব কিছু মনিটারিং করছেন।



Be First to Comment