প্রবোধ দাস, পুরুলিয়া: উন্নত প্রথায় হাঁসপালন বিষয়ক একটি কৃষি খামার বিদ্যালয়ে আজ উপস্থিত ছিলেন নেতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষন প্রসাদ যাদব, ব্লক প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক শুভঙ্কর মাহাতো, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইয়াকুদ, নেতুড়িয়া ব্লকের যুগ্ম-সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুব্রত বিশ্বাস ও আরও অনেকে।
প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক শুভঙ্কর মাহাতো বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘আত্মা’ প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় নেতুড়িয়া ব্লকের হাঁসাপাথর মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে এই খামার বিদ্যালয়ে উপস্থিত ২৫ জন উপভোক্তাদের বোঝানো হয়েছে কীভাবে উন্নত প্রথায় হাঁস পালন করতে হয়। এই হাঁস পালনের মাধ্যমে নিজেদের আর্থিক উন্নতি করা যায়। আমাদের পুরুলিয়া জেলাতে হাঁসের মাংস ও ডিমের চাহিদা আছে, সারাবছর ধরে রোজগারের উপায় থাকে”।
নেতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব বলেন, “কৃষি দফতরের বিভিন্ন কার্যপ্রণালীর মধ্যে এটি একটি অনন্য সাধারণ। আজ ভারী বর্ষার মধ্যেও কৃষি দফতরের আধিকারিক, বিএলডিও সাহেব, যুগ্ম-সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এসেছেন এই মাটির সৃষ্টি প্রকল্প এলাকাতে। এখানকার মহিলাদের হাতে সহায়তা প্রদান করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। আজকের সভা থেকে ১৫০টি হাঁসের বাচ্চা ও তাদের প্রয়োজনীয় খাবার তুলে দেন সভাপতি, যুগ্ম-সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, কৃষি আধিকারিক, বিএলডিও সাহেবরা”।

হাঁসের বাচ্চা পেয়ে খুব খুশি সন্ধ্যামণি টুডু, পার্বতী টুডু, মেনকা হাঁসদারা। তাঁরা বলেন, “এই বর্ষাকালে হাঁসের বাচ্চা ঠিক সময়ে পেয়েছি। এদের লালন পালন করে বড়ো করে তুলব”।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতুড়িয়া ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা পরিমল বর্মন বলেন, “প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী ২৫ জন মহিলাদের নিয়ে এই খামার বিদ্যালয় বা ফার্ম স্কুল। ‘আত্মা’ প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় আজকে তাঁদের হাতে ১৫০টি হাঁসের বাচ্চা তুলে দেওয়া হয়েছে। কী করে সেই বাচ্চাদের বড়ো করে তুলবে সে ব্যাপারে প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক বলেছেন। আমরা সবসময় নজরদারি রাখব। মাটির সৃষ্টি প্রকল্প এলাকায় আরও কী কী করা যাবে সে ব্যাপারে কৃষি বিভাগ, পঞ্চায়েত সমিতি, ‘আত্মা’ প্রকল্পের সবাই একযোগে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছি”।
কৃষি দফতরের আশা, আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করবে আজকের এই কৃষি খামার বিদ্যালয়।




Be First to Comment