Press "Enter" to skip to content

আসানসোল ডিআরএমের সঙ্গে সাক্ষাতে একাধিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা দক্ষিণবঙ্গের বণিকসভা “ফসবেকি”র প্রতিনিধি দলের

আসানসোল : দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বড় বণিকসভা ফসবেকি বা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক প্রতিনিধি দল শুক্রবার পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম চেতনা নন্দ সিংয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা এবং দাবি নিয়ে দেখা করেন।

বনিকসভার তরফে চেতনানন্দ সিংয়ের সঙ্গে রেল সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হয় ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও আলোচনা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ফসবেকির সাধারণ সম্পাদক শচীন রায়, সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান, কোষাধ্যক্ষ রাজেশ দারুকা ও সাংগঠনিক সম্পাদক নিখিলেশ উপাধ্যায়।

পরে সাংবাদিকদের এই বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান ও সাধারণ সম্পাদক শচীন রায় বলেন, আমরা আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম চেতানন্দ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। ফসবেকির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ডিআরএমের প্রতিটি বিষয়ে আলোচনার খুবই ইতিবাচক ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে আরও বেশি ট্রেন চালানোর অনুরোধ জানানো হয়।

আমরা বলেছি কোলফিল্ড এক্সপ্রেসের পরে আসানসোল থেকে হাওড়া বা কলকাতা যাওয়ার কোন ট্রেন নেই। ওই সময়ের পরে এই এলাকার মানুষদের অনেক সমস্যা হয়।

এবিষয়ে চেতনানন্দ সিং আমাদেরকে বলেছেন, ওই সময়ে আসানসোল থেকে যাওয়া রাজধানী এক্সপ্রেসের প্রায় ২০০ টি সিট খালি থাকে। যেহেতু কোলফিল্ডের পরে আসানসোল থেকে হাওড়া পর্যন্ত কোনো ট্রেন নেই, তাই রাজধানী এক্সপ্রেসে যে ২০০টি সিট খালি রয়েছে তাতে কিছু করা যেতে পারে। যাতে এখানকার যাত্রীরা সুবিধা পেতে পারেন।

আমাদেরকে এই ব্যাপারে একটা প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। খাবার না নিলে টিকিটের দামও কমবে। এছাড়াও, সংগঠনের তরফে আসানসোলের যাত্রীদের দুরন্ত ও রাজধানী এক্সপ্রেসে টিকিট পাওয়ার সুবিধা সম্পর্কে ডিআরএমকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিআরএম প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দেন, আসানসোল থেকে এইসব ট্রেনের টিকিটের জন্য কোটা বাড়ানো হবে।

এছাড়াও ফসবেকির প্রতিনিধিদল আসানসোলের আর একটি সমস্যা ডিআরএমের সামনে তুলে ধরেন। তারা বলেন, আসানসোল থেকে চেন্নাই, আসানসোল থেকে আহমেদাবাদ ও আসানসোল থেকে মুম্বাই যাওয়ার জন্য শুধু মাত্র একটি করে সাপ্তাহিক ট্রেন আছে। যে কারণে এখানকার মানুষদেরকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।

তারা বলেন, ১০ বছর হয়ে গেছে এই ট্রেনগুলো চালু হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ট্রেন গুলি শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ভাবে চলে। শচীনবাবুরা বলেন, এই ব্যাপারে ডিআরএম আশ্বাস দিয়ে বলেছেন যে, তিনি এই ট্রেনগুলির চলাচল আরও কি করে বাড়ানো যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »
More from শিল্প-বাণিজ্যMore posts in শিল্প-বাণিজ্য »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *