Press "Enter" to skip to content

লোকসভা নির্বাচনে ‘রাম মন্দির’, ‘রাম রাজ্য’ ও ‘রাম ভোট’ই জয়ের হাতিয়ার, পানাগড়ে রাম নবমীর মিছিলে লাঠি খেললেন দিলীপ ঘোষ

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, পানাগড় : দেশ জুড়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন শুরুর ঠিক দুদিন আগেই রাম নবমী উৎসব । এই রাম নবমীর জন্য বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি চলছিল। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরে ভগবান রামের জন্মদিন পালন যে, ভোট বৈতরণী পার হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে তা আজ পরিষ্কার হয়ে গেল ।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার বর্ধমান দূর্গাপুর কেন্দ্রের পানাগড় এলাকা এখন হিন্দিভাষী ভোটার অধ্যুষিত এলাকা । আর এখানেই রামনবমীর মিছিলে অংশ নিয়ে এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেই দিলেন, ভগবান রাম মানেই রামরাজ্য। ভগবান রাম মানেই শাস্ত্র ও শস্ত্র ।

এ দিন বিজেপি প্রার্থীর হাতে ছিল লাঠি। এবারে এই কেন্দ্রে তাঁর সঙ্গে ভোট যুদ্ধের ময়দানের অন্যদিকে রয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তৃণমূল কংগ্রেসের কীর্তি আজাদ ।

কীর্তির পরিচয় হলো ক্রিকেটারের পাশাপাশি একজন রাজনৈতিক নেতা। একদা বিজেপির এমপি ছিলেন, পরে বিজেপি তাকে তাড়িয়ে দেয় ।

এ দিন দিলীপ ঘোষ দেখালেন তিনিও একজন খেলোয়াড়। তবে কীর্তির মতো ক্রিকেট খেলেন না। তিনি যেটা খেলেন, তা হল লাঠি ।

পানাগড়ে তিনি বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই শস্ত্র অর্থাৎ লাঠি নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ খেলা দেখালেন। সঙ্গে করলেন কসরতও।

তাঁর লাঠি খেলা দেখে এলাকার বিজেপির নেতা ও কর্মীরা আবেগতাড়িত ও আপ্লুত হয়ে রামের নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন। রামনবমীতে বেশ চাঙ্গা লাগছিল দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে ।

পরে দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, “ভগবান রাম মানে শাস্ত্র ও শস্ত্র । শাস্ত্র ও শস্ত্র সব দিক দিয়ে ভারত বর্ষকে যুক্ত করতে পারে । তবেই রাম রাজ্য হবে। রামনবমীতে হাজার হাজার যুবকের হাতে লাঠি রয়েছে। আগামী দিনে হিন্দু সমাজ ও দেশকে সুরক্ষিত করতে হবে এই লাঠি দিয়েই।”

এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ পানাগড় বাজারে রনডিহা মোড় থেকে রামনবমী উপলক্ষে হওয়া মিছিলে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ । মঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মীদের চাঙ্গা করতে তিনি ব্যবহার করেন সেই পুরানো শস্ত্র, “হিন্দুত্ব , ভগবান রাম এবং রামমন্দির”।

তিনি বারবার বলেন, ৫০০ বছরের লড়াইয়ের পরে শেষ পর্যন্ত অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হয়েছে। আর এই রামমন্দির তৈরির পরে এটা প্রথম রামনবমী। তাই সেটা অনেকটা যুদ্ধ জয় হিসাবে দেখছে সারা দেশ।

এর সঙ্গে তাঁর সংযোজন, কাল পর্যন্ত যারা জয় শ্রীরাম বলতেন না, তারা আজ জয়শ্রী রাম বলছেন। এটাই তো ভগবান রামের মহিমা । ৫০০ সাল পরে রামভক্তরা যুদ্ধ জয় করেছেন । রামরাজ্য হবেই হবে । যেমন করে মন্দির তৈরি হয়েছে ও সেখানে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে ঠিক সেইভাবেই ।

এদিন রণডিহা মোড় থেকে পায়ে হেঁটে সকলের সাথে গুরুদ্বোয়ারা পর্যন্ত যান বিজেপি প্রার্থী ।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *