Press "Enter" to skip to content

‘আমরা চা খেলে অন্য লোকের কষ্ট হয়’, অগত্যা ডান্ডা হাতেই প্রাতঃভ্রমণে দিলীপ ঘোষ

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : দিলীপ ঘোষ মানেই সকাল সকাল চায়ে পে চর্চা। আর প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এমন কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য, তা নিয়ে নতুন নতুন বিতর্ক। মঙ্গলবারও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর মেজোর পার্কে এ দিন তাঁর ভ্রমণসঙ্গী হয়েছিল একটি ডান্ডা। অবাঞ্ছিত লোকজনদের না কি ঠান্ডা করতেই এই ডান্ডার অবলম্বন নিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সর্বপরি বিতর্কিত প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘আমরা চা খেলে অন্য লোকের কষ্ট হয়’।

গতকাল, সোমবার ফুলঝোড়ে দিলীপ ঘোষের চায়ে পে চর্চা নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। বিজেপি-তৃণমূল ধস্তাধস্তি থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী, সবই দেখা গিয়েছে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এ দিন দুর্গাপুরের চণ্ডীদাস মার্কেটে চা চক্র থেকে সেই গোলমাল প্রসঙ্গে দিলীপ এ দিন বলেন, “আমরা চা খেলে অন্য লোকের কষ্ট হয়। ওরা চা খেলে লোক আসে না। ওরা চায়ের পয়সাও দেয় না। কংগ্রেস, সিপিএমের বাড়িতে তো ইডি, সিবিআই যায় না! আসলে তারা জানে কার বাড়িতে গেলে বান্ডিল বান্ডিল মাল উদ্ধার হবে। কেষ্ট মণ্ডল মাগুর মাছের ব্যবসা করত। আজ সাড়ে ৫০০ কোটির মালিক। শাহজাহান ৬০০ কোটির মালিক। ড্রাগসের কারবার, সোনা পাচার থেকে শুরু করে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা এনে সারা দেশে পাচার করার মতো সব রকম অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল শাহজাহান।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেও তোপ দাগলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “দিদিমণি দু’দিন দুর্গাপুরে ছিলেন। সকালে উঠে খোঁজ নেন, কটা গেল? রোজ কেউ না কেউ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ৪ জুনের পরে বাকিরাও চলে যাবে। এমন পার্টি করেছেন, চোর ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না।” পাশাপাশি, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী, তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের উদ্দেশ্যে দিলীপের কটাক্ষ, “তৃণমূলের প্রার্থী দু’দিন প্রচার করে ভাগলপুর চলে গিয়েছেন। গায়ে ব্যাথা হয়ে গিয়েছে।” এ বারের নির্বাচনে শুধু সিপিএম, কংগ্রেস নয়, তৃণমূলের লোকেরাও বিজেপিকে ভোট দেবেন বলে দাবি করেন তিনি।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, এ দিন সকালে দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর মেজোর পার্কে তিনি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বের হন দিলীপ ঘোষ। তাঁর হাতে দেখা যায় একটি লাল রঙের ডান্ডা। ওই ডান্ডা হাতে রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এক বন্ধু আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন, চলার পথে অনেক অবাঞ্ছিত লোকজন সামনে চলে আসছে। তাই এই লাঠি হাতে নিয়ে বেরোতে।”

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *