Press "Enter" to skip to content

দিনবাজারে জরাজীর্ণ অবস্থায় ধুঁকছে মার্কেট কমপ্লেক্স, পদক্ষেপের আশ্বাস জলপাইগুড়ি পুরসভার

বেহাল অবস্থা মার্কেট কমপ্লেক্সের। ছবি: প্রতিবেদক

অভিষেক সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: ঝাঁ চকচকে নতুন কমপ্লেক্সে এখনও শুরু হয়নি ব্যবসায়িক কাজকর্ম। ঠিক তার কিছু দূরেই একদশকেরও বেশি সময় ধরে বেহাল আরেক মার্কেট কমপ্লেক্স। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা জলপাইগুড়ির দিনবাজারের পুরাতম মার্কেট কমপ্লেক্সে। হেলদোল নেই পুরসভার। এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। রাতের অন্ধকারে চলছে অসামাজিক কাজ। এমনটাই অভিযোগ দিনবাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশের। তবে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা।

বাম আমলে দিনবাজারের ভেতরে এই মার্কেট কমপ্লেক্সটির নির্মাণ করা হয়। এই মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণে পরিকল্পনার অভাব ছিল বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের একাংশের। কোনদিনই সেভাবে ব্যবসা জমেনি ওই কমপ্লেক্সে। বর্তমানে এটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দোতলা ভবনের দেওয়ালে বট-পাকুড়ের শিকড়ের জাল ছড়িয়েছে বহুদূর। দোতলায় ওঠার সংকীর্ণ সিঁড়ির রেলিং ভেঙে গিয়েছে বহুদিন। খসে পড়া পলেস্তারা ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছে ভবনের মেঝেয়।। ভবনের ছাদ জঙ্গলে পরিপূর্ণ। গোটা ছাদেই ঝোপঝাড়। ভবনে বিদ্যুতের তার ঝুলছে বিপদজনক ভাবে। বৃষ্টি হলেই ভবনের ছাদ থেকে জল চুইয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ।

এ দিকে মাঝেমধ্যেই ভবন থেকে চাঙড় খসে পড়ছে নীচে,বাজারের রাস্তায়। পলিথিনের চাঁদোয়া থাকায় বড় বিপদ থেকে বেঁচে যাচ্ছেন ওই রাস্তায় থাকা ক্রেতা-বিক্রেতারা। ভবনের ভেতরে থাকা দোকানঘরগুলোরও তথৈবচ অবস্থা। প্রাণ হাতে করে ব্যবসা করছেন বিক্রেতা ও কর্মচারীরা। প্রবীণ ব্যবসায়ী কালা দে-র অভিযোগ, বারবার বলেও কোন লাভ হয়নি। যেকোনো সময় বিপদ ঘটতে পারে। প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে?

অভিযোগ, হেলদোল নেই পুরসভার

ভবনের ছাদ-দেওয়াল ভরে উঠেছে গাছ-গাছড়ায় । ছবি: প্রতিবেদক

আরেক ব্যবসায়ী তন্ময় দে-র অভিযোগ, “বহিরাগত কিছু ব্যবসায়ী সন্ধ্যা হলেই ওই ভবনে ঢুকে নেশার আসর বসায়। প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীদের হুমকির মুখে পড়তে হয়। বাধ্য হয়েই আমরা চুপ করে থাকি।”

অন্য দিকে, দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মলয় সাহা বলেন, মোহন বসু চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তারপর বহুবার পুরসভাকে বলা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্তমানে ভবনের অবস্থা সঙ্গীন। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে ভবনটি। তিনি আরও বলেন, ওই ভবনে থাকা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভাড়াও নিচ্ছে না পুরসভা। বহুবার পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

কী বলছে পুরসভা?

সন্দীপ মাহাতো, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল, জলপাইগুড়ি পুরসভা। ছবি: প্রতিবেদক

পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সন্দীপ মাহাতো বলেন, “পুরসভা এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল। ওই ভবনটির সামনে ফ্লেক্স লাগিয়ে বিপজ্জনক ঘোষণা করা হবে। নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। ভবন সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হবে।” তাঁর আরও সংযোজন, এনবিডিডি-র সঙ্গে কথা হয়েছে পুরসভার। পুরনো কমপ্লেক্স নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *