জামুড়িয়া : আসানসোলের জামুড়িয়া শিল্প তালুকে বেশ কয়েকটি বেসরকারি কারখানা অজয় ও সিঙ্গারন নদী দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি ও জঙ্গল জবরদখল করে নেওয়া হচ্ছে।
এবার এই দুই ইস্যুতে সরব হলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। অজয় ও সিঙ্গারন নদী রক্ষার্থে ও আদিবাসীদের জমি ও জঙ্গল জবরদখল রুখতে শুক্রবার জিতেন্দ্র তেওয়ারির নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির ডাকে জামুরিয়া ব্লক ডেভেলপমেন্ট বা বিডিও অফিস ঘেরাও করে একদিনের ধরনা বিক্ষোভ হয়।
এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, জামুরিয়া শিল্প তালুক এলাকায় বেশ কিছু বেসরকারি কারখানার মালিকদের দ্বারা অজয় ও সিঙ্গারন নদী দখলের বিরুদ্ধে জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছিলাম। এরপরেও জামুরিয়া ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস থেকে কোনও উপযুক্ত জবাব না পাওয়ায় এদিন অফিস ঘেরাও করা হয়েছে।

কে কত টাকা কামাচ্ছে তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে দেশের আইন লঙ্ঘন করে কেউ যদি প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে অর্থ উপার্জন করে, তাহলে তা হতে দেবো না বলেও জানান জিতেন্দ্র । জামুরিয়া শিল্প তালুক এলাকার কিছু কারখানার মালিকেরা যেভাবে নদীর জলের গতি পরিবর্তন করে এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করছে তা একটা অপরাধ।
বিজেপি নেতা আরও বলেন, অভিযোগ করার পরেও যখন কোন অর্থবহ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তাই এদিন এই প্রতিবাদ করা হচ্ছে। এরপরেও যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তবে ভারতীয় জনতা পার্টি আইনের আওতায় থেকে যা করা দরকার তা করবে।
তবে যে কোনও মূল্যে জামুরিয়ার প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সচেষ্ট হবে বিজেপি। পাশাপাশি আমরা বাংলার পরিবেশ বাঁচাতে যারা অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন, তাদের সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা করবো। প্রয়োজনে আমরা দুই নদীকে বাঁচাতে আদালতে যাবো।
এ বিষয়ে জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইন্দিরা বাদ্যকর বলেন, এই এলাকায় নদী দখলের বিষয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ হয়, তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএলআরওকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলবো। তার রিপোর্ট আসার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নদী দখল করার কোন অধিকার কারোর নেই। যদি কেউ এটা করে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নিয়ে জামুরিয়া ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা বিডিও অরুণলোক ঘোষ বলেন, এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য ও অভিযোগ নেই। সরকারি জমি বা নদী কেউ দখল করতে পারে না। যদি, কেউ সত্যি এমন কিছু করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




Be First to Comment