অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, কুলটি : ৬ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক যুবতীর পচাগলা দেহ শেষ পর্যন্ত পানাপুকুর থেকে উদ্ধার হল। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয় ।রবিবার সকালের এই ঘটনায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির ইসিএলের সোদপুর এরিয়া অফিস সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কুলটি থানার চিনাকুড়ি ৩ নম্বর নামোপাড়ার বাসিন্দা মৃত যুবতীর নাম সুমন কুমারী (৩৭)।
এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবতীর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। মৃত যুবতীর ভাই চন্দন শর্মা দিদি সুমন কুমারীর শারীরিক সমস্যা আছে বলে দেহ উদ্ধারের পরে পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি দিদির মৃত্যু ঠিক কি কারণে হয়েছে, তা তদন্ত করে বার করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন। এদিকে যুবতীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলটির চিনাকুড়ির বাসিন্দা সুমন কুমারী গত ২৮ মে মঙ্গলবার সকালবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। বিভিন্ন জায়গায় বাড়ির লোকেরা তার খোঁজ করেন। কিন্তু তারা তাকে কোথাও পাননি।

পরের দিন ২৯ মে গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে নিখোঁজের অভিযোগও দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। তারপরেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে রবিবার সকালে ইসিএলের সোদপুর এরিয়া অফিস সংলগ্ন একটি পানাপুকুরে এলাকার বাসিন্দারা একটি মহিলার পচাগলা দেহটি দেখতে পান। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এরপর সুমন কুমারীর পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে আসেন। তারা দেহটি সুমন কুমারীর বলে সনাক্ত করেন। এরপর পচাগলা দেহটিকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পুলিশ জানায়, মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পরিবারের তরফে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঠিক কি কারনে ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে বলা যাবে না। আপাতত, এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।



Be First to Comment