Press "Enter" to skip to content

অস্থায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, ডিভিসি সাব-স্টেশনের সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ

মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ। নিজস্ব ছবি

 অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, কুলটি: কর্মরত অবস্থায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কল্যাণেশ্বরী বিদ্যুৎ বিভাগের ডিভিসি সাব-স্টেশনের এক আদিবাসী অস্থায়ী শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। তাঁকে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। জানা গেছে, ওই মৃত শ্রমিকের নাম সাহেব লাল মুর্মু (৪২)। তিনি কুলটি থানার অন্তর্গত পুরান্ডি আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দা।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ডিভিসি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের তিনজন ডিভিসি আধিকারিকের কথা মত তাকে কোনও প্রকার সুরক্ষা ছাড়াই একটি বিদ্যুৎ-এর খুঁটিতে উঠানো হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ খুঁটির উপর বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে খুঁটি থেকে মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হন ওই শ্রমিক সাহেব লাল মুর্মু। তড়িঘড়ি তাকে চিকিৎসার জন্য আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা অবনতির কারণে সেখানে থেকে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা শুরু হয়।

কিন্তু আজ তিনি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । তারপর দুর্গাপুর সরকারি হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত করা হয়। সেখান থেকে মৃতদেহ নিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামের মানুষজন ডিভিসি বিদ্যুৎ বিভাগের সাব স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে।

উত্তেজিত জনতা ধামসা মাদল বাজিয়ে, পরে কল্যানেশ্বরী দেন্দুয়া মুখ্য রাস্তা অবরোধ করে। মৃতের পরিবারের দাবি, ডিভিসির গাফিলতির কারণে সাহেব লাল মুর্মুর মৃত্যু হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরা ডিভিসির কাছে পরিবারের একজনকে স্থায়ী চাকরি-সহ ক্ষতিপূরণের দাবি করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কুলটি থানার অন্তর্গত চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মনোজ তেওয়ারী ও তৃণমূল নেতা ভোলা সিং।

মনোজ তেওয়ারী বলেন, ডিভিসি আধিকারিকের গাফিলতির কারণেই আজ এই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।আমারা চাই, তাদের পরিবারের কোনও সদস্যকে স্থায়ী চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। তাদের পাশে আমাদের বিধায়ক তথা মেয়র বিধান উপাধ্যায় সহ সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন ।
তাছাড়া ডিভিসির অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন তার পাশে রয়েছে।

এই ঘটনার মীমাংসা করার জন্য ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মৃত পরিবারের সদস্যরা আলোচনায় বসেন । তবে এই খবর লেখা পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোনো মীমাংসা হয়নি বলে জানা যায়। মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত পথ অবরোধ চলবে বলে জানায় স্থানীয় মানুষজন।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *