Press "Enter" to skip to content

শিয়রে ঘূর্ণিঝড় দানা! সুন্দরবনের নদী বাঁধে আবার ভাঙনে আতঙ্কিত সুন্দরবনের মানুষ

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন : আবার ঘূর্ণিঝড়, এ বার দানা চোখ রাঙাচ্ছে। আর তাই আবার আতঙ্কিত সুন্দরবনের মানুষজন। একের পর এক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে উপকূলে। ঝড়-জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে সুন্দরবন। আর তাই তো সেই সব কথা মনে করে আতঙ্কে দিন কাটছে এখন সুন্দরবনের উপকূলবর্তী মানুষকে।

ইতিমধ্যে সুন্দরবনের ক্যানিং মহকুমার বাসন্তী ব্লকের তিনটি জায়গায় নদীবাঁধে ধস নেমেছে। বিশেষ করে নফরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরিঞ্চি বাড়ি এলাকায় বিদ্যা নদীর বাঁধে প্রায় তিনশো ফুট ধস নেমে তা নদীতে মিশে গেছে।২০০৯ সালে আয়লার পরেই সুন্দরবনে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করার কথা বলেছিল তৎকালীন বাম সরকার। কিন্তু পরে তা কিছু জায়গায় হলেও, বেশির ভাগ জায়গায় কংক্রিটের বাঁধ তৈরি হয়নি। এরপর বুলবুল, ইয়াস,আমফান, ফনি, লায়লার তাণ্ডবে তছনছ হয়েছে সুন্দরবন।এরই মধ্যে দানা মোকাবিলার জন্য তৎপর জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে বিদ্যার নদী বাঁধ মেরামতের জন্য যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে কাজ চলছে। একই সঙ্গে চলছে মাটি ভর্তি বস্তা দিয়ে নদীবাঁধ পোক্ত করার কাজ।

আবারবাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরন্দরে হোগল নদী বাঁধের প্রায় ২৫০ ফুট অংশ নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। সেখানেও বাঁধ মেরামতের কাজ করছে সেচ দপ্তর।পাশে রামচন্দ্র খালি পঞ্চায়েতের সোনাখালিতে আচমকা নদীবাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। প্রায় ২০০ ফুট নদী বাঁধের অংশ নদীগর্ভে মিশে গেছে।আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে স্থানীয় বাসিন্দারা।স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা বলেন, প্রতিবছর একটু একটু করে নদীবাঁধ ভেঙে ভেঙে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। কংক্রিটের নদীবাঁধ না নির্মাণ করলে আগামী দিনে গোটা গ্রামটাই তো তলিয়ে যাবে।

মঙ্গলবার এ ব্যাপারে বাসন্তীর বিডিও সঞ্জীব সরকার বলেন, বাসন্তীর যে সমস্ত ভাঙন কবলিত এলাকা রয়েছে সেই সব এলাকা চিহ্নিত করে নদীবাঁধ মেরামতের কাজ চলছে।আমাদের ব্লকের যে সমস্ত বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র গুলি রয়েছে সেগুলিকে তৈরি রাখা হচ্ছে।পরিস্থিতি অনুযায়ী মানুষকে সেখানে এনে রাখা হবে।সুন্দরবনের মৎস্যজীবিরা এই তিন দিন যাতে কোন ও ভাবে মাছ, কাঁকড়া ধরতে নদীতে না যেতে পারেন তাঁর জন্য বারুইপুর পুলিশ জেলারঝড়খালি উপকূল থানার পুলিশ জেটিঘাট এলাকায় মাইকে প্রচার চালাচ্ছে।

পুজোর পরে এই সময়ে প্রচুর পর্যটক সুন্দরবনে বেড়াতে আসেন। ঝড়খালির জেটিঘাট থেকে তাঁরা নদী পথে ভ্রমণ করেন। দুর্ঘটনা এড়াতে তাঁদের নদীতে যেতে বারণ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ নয়টি জেলার সমস্ত স্কুলে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।তবে এই দানা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম ভাবে প্রস্তুত আছে প্রশাসন সুন্দরবনে।তবে সুন্দরবনের মানুষ চায় সরকার সুন্দরবনের নদী বাঁধের ভাঙন আটকাতে স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধের ব্যবস্থা করুক।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *