কুলটি : বালির কালোবাজারি চলছে। বালির দাম অত্যাধিক বেড়ে গেছে। তার ফলে রাজমিস্ত্রি ও লেবাররা কাজ হারাচ্ছে। জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনিয়ম হচ্ছে। বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।
এমনই সাতটি দাবিকে সামনে রেখে সিপিআইএমের কুলটি এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে শুক্রবার আসানসোলের কুলটি সমষ্টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার বা বিএলআরও অফিসে মিছিল করে এসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে বিএলআরওকে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ও স্মারকলিপি দেওয়াকে নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী সহ সিপিআইএম নেতারা।
এই প্রসঙ্গে আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে রাজ্যে কোন আইনশৃঙ্খলা নেই। বিশেষত, পুলিশ প্রশাসন জমি ও বালি মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আজ সারা বাংলায় জমি মাফিয়া হোক বা বালি মাফিয়া, সবাই প্রশাসনকে হেয় করে নিজেদের আধিপত্য জাহির করতে এই কাজ করছে।

তিনি বলেন, এলাকায় এলাকায় পুকুর ভরাট করা হচ্ছে, অবৈধভাবে জমি দখল করা হচ্ছে। বিএলআরও অফিসের বেশ কিছু কর্মী ও আধিকারিকদের জমি মাফিয়াদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে । পাশাপাশি তিনি বালির আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এর জন্য প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে বালি মাফিয়াদের যোগসাজশের অভিযোগও করেন।
বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, আজ বালির দাম এত বাড়ার একটাই কারণ, এখানে একটা বড় ধরনের সিন্ডিকেট কাজ করছে। যারা পুরো ব্যবস্থার গভীরে ঢুকে পড়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি এখানে তৃনমুল কংগ্রেসের সাথে একটি সেটিংয়ে কাজ করছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় সরকারও এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সিপিআইএমের স্মারকলিপির বিষয়ে কুলটির বিএলআরও সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, নির্দিষ্ট করে অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বালির দাম নিয়ে বিএলআরও অফিসের কিছু করার নেই।




Be First to Comment