অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদ: বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভোটের প্রচারে রাস্তায় নেমেছিলেন ।
বহরমপুর এলাকার গান্ধী কলোনি থেকে বিটি কলেজ মোড় পর্যন্ত জনসংযোগ এবং নির্বাচনী প্রচার করার সময় আচমকাই বাধা এলো কিছু মানুষের কাছ থেকে । পাঁচ বারের বর্ষীয়ান সাংসদকে ঘিরে উঠল ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ। অভিযোগ সেইসময় মেজাজ হারিয়ে এক জনকে চড় মারেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী । যদিও তিনি সেই চড় মারার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এই সম্পর্কে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘তৃণমূলের চুল্লুখোরেরা আমার প্রচারে বাধা দিচ্ছিল,তাই প্রতিবাদ করেছি।’’

এমন ঘটনার পরও তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । উল্লেখ্য, জনসংযোগ এবং নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা অধীরকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ দিতে থাকে । বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় বহরমপুর লোকসভার কংগ্রেস প্রার্থীর গাড়ি। প্রচণ্ড রেগে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অধীরবাবু ।
তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন । অভিযোগ, সেই সময় এক তৃণমূল কর্মীকে হুমকি দেন তিনি। তাঁকে ধাক্কা দেন। চড়ও মারেন। অন্য দিকে, গন্ডগোলের খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে যায়। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে কংগ্রেস প্রার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ । এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অবশ্য তৃণমূলের অভিযোগ, জনভিত্তি হারিয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন অধীর। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছে শাসকদল। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এক তৃণমূল কর্মীর দাবি, ‘অধীর চৌধুরী গাড়ি থেকে নেমে এসে এক জনের গায়ে হাত তোলেন। এক জনের গায়ে কেনও হাত তোলা হল। তারজন্য ক্ষমা চাইতে হবে অধীরবাবুকে ‘।
অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পনা করেই তাঁর প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। অধীরবাবু কটাক্ষের সুরে বিক্ষোভকারীদের ‘চুল্লুখোর’ বলে আক্রমণ করেন।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই তিনি জেলা পুলিশ সুপারকে ফোন করেন। জানান, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনেরও নজরে আনবেন। অধীর বলেন, ‘‘তৃণমূল ওদের চুল্লুখোরদের দিয়ে আমার প্রচার আটকাবে, তা মানব কেন? নেশা করে ‘গো ব্যাক’ বলবে, প্রতিবাদ তো করবই। আর সেটাই করেছি। চার দিকে সিসিটিভি আছে, দেখলেই প্রমাণ পাবেন, আদৌ গায়ে হাত দিয়েছি কি না।’’
এই গন্ডগোল নিয়ে বহরমপুর এলাকার মানুষজনদের বক্তব্য, গান্ধী কলোনির মতো এলাকায় অধীর চৌধুরীকে ‘মসিহা’ মনে করেন সকলে, সেখানেই আজ তিনি বিক্ষোভের মুখে। বিরোধীরা চাইছেন যে কোনো উপায়ে অধীরবাবুকে আটকাতেই হবে , নচেৎ অধীরবাবুকে আটকানো যাবে না ।




Be First to Comment